নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আজকে আমাদের ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত। নারায়ণগঞ্জে শাওনের রক্ত আজও আমাদের বুকে ব্যাথা দেয়। আজকে এই শোক র্যালিতে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমবেত হয়েয়ছে এই সরকারকে লাল কার্ড দেখাানোর জন্যে।
হত্যা খান হামলা মামলা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতার্কর্মীদের দাবিয়ে রাখা যাবে না। আজকের এই শোক র্যালি থেকে আমি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। গত ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালি থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি দাাবি করছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তি দাবি করছি। সেইসাথে সারাদেশে গ্রেফতার বিএনপি নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপির চলমান কর্মসূচি পালন কালে নিহত ভোলার আব্দুর রহিম ও নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিম হত্যার প্রতিবাদে ও তাদের স্মরণে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে শোক র্যালি করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় মিশনপাড়া হোসিয়ারি সমিতির ভবনের সামনে শোক র্যালি পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আর বলেন, আজকের এই সভা থেকে সরকারকে বলে দিতে চাই অবিলম্বে ততারেক রহমানকে দেশে আসতে দিতে হবে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হহবে। অন্যথায় দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়েয় ফেললা হবে।
পরে ভোলার আব্দুর রহিম ও নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আব্দুল আলিমের আত্মার মাগফেরাত ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সু- স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় শোক র্যালিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন কালু। আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু, এমএইচ মামুন, কার্যকরী সদস্য এড. রফিক আহমেদ, রাশিদা জামাল, হাবিবুর রহমান দুলাল, ডা. মুজিবুর রহমান, ফারুক আহমেদ রিপন, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কামরুল ইসলাম চুন্নু, ফারুক হোসেন, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মাহমুদুর রহমান, হাবিবুর রহমান মিঠু, বরকতউল্লাহ, হুমায়ুন কবির, মাসুদ রানা, শাহিন আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম হিরন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুগ্ম আহবায়ক ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ, যুবদল নেতা সজিদুল ইসলাম, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফি উদ্দিন রিয়াদ, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর তাঁতীদলের আহ্বায়ক মীর আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুর রহমান সাগর, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শিবলীসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।