র্যাব-১১’র অভিযানে সোনারগাঁ থানার স্ত্রী হত্যা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আশরাফকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। শুক্রবার (১৮ ফেব্রয়ারি) র্যাব তাকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করে। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সাভার এলাকা থেকে মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর পলাতক ছিলো। গ্রেপ্তারকৃত মো. আশরাফ হোসেন ওরুফে কামাল নোয়াখালীর জেলার বেগমগঞ্জ থানার মৃত নুরুল গণির ছেলে।
র্যাব জানায়, অভিযুক্ত কামাল ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞান বিষয়ে বি.কম পাশ করে সোনারগাঁ থানার একটি প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানীতে ২০০১ সালে চাকুরী শুরু করে।
২০০৩ সালে সানজিদা আক্তার নামের এক নারীকে বিয়ে করে কোম্পানীর স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করে। ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পারিবারিক কলহের কারণে আশরাফ তার শিশুপুত্রের সামনে সানজিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
হত্যার ঘটনা গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতের ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে দেয় এবং প্রচার করেন, আত্মহত্যা করেছে। সে অনুযায়ী অপমৃত্যু মামলাও করা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ঘটনাটি পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় আশরাফ হোসেনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। সে ১২ দিন পর শ্বশুরের সহযোগিতায় জামিনে মুক্তি পায়। জামিন পাওয়ার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
র্যাব আরো জানান, সানজিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে জানা গেলে সোনারগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেন। পরবর্তীতে আদালতে পুরো বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় আসামীকে ৩০২/২০১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডীত করার আদেশ প্রদান করেন।
তারপর থেকে আসামী গ্রেপ্তার এড়াতে ২০০৬ সালে সাপ্তাহিক মহানগর বার্তার সহকারী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। অত:পর সে ২০০৯ সালে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করে।
পরবর্তীতে সংবাদ প্রদিক্ষণ পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত হয়। বর্তমানে সে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য ও স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার স্টাফ রির্পোর্টার হিসেবে কাজ করেন।