নারায়ণগঞ্জের বন্দর সোনারগাঁওয়ের হিট লিস্টে থাকা মাদক সম্রাট জাবের এখনো অধরা থেকে একটি প্রভাবশালী কুচক্রী মহলের ছত্রছায়ায় নির্বিঘ্নে মাদক কারবারি করে যাচ্ছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত একটানা বিভিন্ন ভাবে সোনারগাঁও এবং বন্দর থানার শতাধিক মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে মাদক সম্রাট জাবের ভূইয়া।
বিগত ১০ বছর পুর্বে এই জাবের এর বাবা খোকন ভূইয়া লাঙ্গলবন্দের মাদক স্পট চালিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কারবারি করতো তৎকালীন সময়ে একাধিক মাদক মামলা থাকায় পুলিশের ক্রস ফায়ারে মারা যায়।
তারপর থেকেও সেই মাদক ব্যবসার হাল নিয়ন্ত্রন করে আসছে এই জাবের ভূইয়া।
এদিকে বাবার অনুপস্থিতে মাদক ব্যবসায় বেদমে চালিয়ে যাচ্ছে জাবের ভুইয়া।
তার স্থানীয় বসত বাড়ি লাঙ্গলবন্দ কলোনিতে। উল্লেখ্য তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে টানা ১১বছর বন্দরের অধিকাংশ মাদক স্পট চালিয়ে যাচ্ছিলো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,বিগত সময়ে মাদকবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে একাধিক মাদক মামলাসহ অসংখ্য বার গ্রেফতার হওয়ায় বন্দরের লাংগলবন্ধ কলোনি থেকে স্থান পরিবর্তন করে গোপনে চলে যায় সোনারগাঁওয়ের আলাবদী গ্রামে মামার বাড়িতে গিয়ে নতুনভাবে আরেকটি মাদক স্পট তৈরি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার কারবারি করছে। এক সূত্রে জানা যায়, হাত বাড়ালেই তার কাছে ফেন্সি,ইয়াবা,বিয়ার,মদের বোতল সহকারে নানা প্রকারের মাদক খুচরা ও পাইকারী পাওয়া যায়।
সে মাদক মামলায় একাধিক বার জেল হাজত থেকে এসেও ক্ষ্যান্ত হোন নাই।
এরপর প্রায় ৪ বছর যাবত সোনারগাঁওয়ের আলাবদি,কাফরদী,পাচপীর দরগাহ, কালা দরগাহ,মল্লিক পাড়া, সোনাখালী, পাচানী, দমদমা, গোহাট্টা, হাবিবপুরসহ আরো একাধিক স্পট একাই নিয়ন্ত্রন করছে সমাজের অন্তরালে প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে।
পাশাপাশি বন্দরে লাংলবন্ধ এলাকার কলোনী,চিড়ইপাড়া, কামতাল,মালিভিটা, হালুয়াপাড়া, মহজুমপুর,যোগীপাড়া, মালিবাগ, গোকুলদাসের বাগ সহ আরো একাধিক স্পট চালিয়ে যাচ্ছে বেদম।
এক সূত্রে জানা যায় মাদক ব্যবসার পাশাপাশি ক্যাসিনোর এজেন্ট হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত জোয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ক্যাসিনো এবং মাদকের থাবায় সমাজের হাজারো যুবক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই সাধারণ মানুষের আর্জি এই রকম বড় বড় রাঘব ভোয়ালদের থেকে আমাদের এই সমাজকে সুন্দর এবং সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসার জন্য এদের দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অতিব জরুরি।
তাই এলাকাবাসীর আকুল আবেদন প্রশাসন যেন এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখেন এবং যুব সমাজকে এই ধংসের হাত থেকে রেহাই পাইয়ে দেয়।