শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যা-লাশ গুমের মামলা

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬.০৮ এএম
  • ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান মোর্শেদের বিরুদ্ধে প্রায় পাঁচ বছর আগে স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকিকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে টাঙ্গাইল থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন মামলাটি রেকর্ড করার বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে আবেদন করা হবে।

মোর্শেদকে পুলিশ গত ১৯ আগস্ট একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করে। পরে ওই দিনই তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুইটি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলায় বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।

মোর্শেদ ছাড়াও হত্যা মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোর্শেদের প্রথম স্ত্রী সোমা ওরফে মনা, মুন্সি তারেক পটন ও তার স্ত্রী লিনা, পারভেজ খান রনি, সোহেল ওরফে বাবু, অনন্ত সূত্রধর, রাফসান ও আয়নাল মিয়া। তারা সবাই শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার বাসিন্দা। মামলায় এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মোর্শেদের দ্বিতীয় স্ত্রী সৈয়দ আমেনা পিংকির বাবা সৈয়দ শরিফ উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৪ আগস্ট টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের জুন মাসে তার মেয়ে সৈয়দ আমেনাকে অপহরণ করে বিয়ে করেন মোর্শেদ। তাদের ছয় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দুই স্ত্রী থাকায় মোর্শেদের পরিবারে মাঝে-মধ্যেই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।

এর জের ধরে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকার এক বাসায় দাওয়াতের কথা বলে মোর্শেদ আমেনাকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে অন্য আসামিদের সহযোগিতায় মোর্শেদ তাকে হত্যা করে লাশ গুম করেন। মোর্শেদের ভয়ে তিনি মামলা করতে সাহস পাননি। পরে মোর্শেদ ১৯ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আদালত এ হত্যার বিষয়ে থানায় কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল কিনা তার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য টাঙ্গাইল সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। কোনো মামলা বা জিডি হয়নি বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত মামলাটি রেকর্ড করার জন্য টাঙ্গাইল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, এ হত্যা মামলায় মোর্শেদকে গ্রেফতার দেখানোর পর তদন্তের প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হতে পারে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, মোর্শেদ টাঙ্গাইল শহর ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। পরে জেলা যুবলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দলীয় পদ না থাকলেও শহর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন।

পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মোর্শেদের বিরুদ্ধে করা ছাত্রদল নেতা রেজা হত্যা মামলা ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা, ব্যবসায়ী তুহিন হত্যা মামলাসহ চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এক ডজন মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময়।

গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে মোর্শেদ টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort