ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাঁচাতে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতেই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের মমতা ব্যানার্জিকে। আর এ আসনেই তিনি বিধায়ক হওয়ার লড়াইয়ে নামবেন। এখন প্রশ্ন উঠেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন কে বা কারা। সূত্র বলছে, প্রার্থী খুঁজতে গিয়ে খুবই ফাঁপরে পড়েছে বিজেপি ও বাম দলগুলো। নিজেদের কাউকে প্রার্থী করতে রাজি করতে পারছে না তারা। তাই নির্বাচন কমিশনকে একগাদা গালাগাল দিয়ে অস্বস্তি ঢাকার চেষ্টা করছেন নেতারা।
কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, প্রার্থী দেবেন না ভবানীপুর উপনির্বাচনে। কিন্তু বামেরা কী করবে! বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছেড়ে দিয়েছিল তারা। তাই কংগ্রেস না বলতেই মুখ বাঁচাতে শরিক ফরোয়ার্ড ব্লককে প্রার্থী দিতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। আলিমুদ্দিনের একাংশ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা মীনাক্ষীকেই ফের প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। বলছেন, মীনাক্ষীর ভাবমূর্তি দিয়ে অন্তত বামেদের ভোটটুকু ধরে রাখা যাবে।
কিন্তু বিজেপি কী করবে? রুদ্রনীল তো ভোটের পর আর বিজেপিমুখো হননি। কোন দলে আছেন তা এখনও কেউ জানে না। তাই কে প্রার্থী হবেন তা নিশ্চিত নয় এখনও। তৃণমূল জয় হিন্দের সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, বিজেপি, বাম- দুদলের প্রার্থীর জামানত জব্দ হবে বলে কাউকে রাজি করাতে পারছে না।
দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই মমতার হয়ে জোর কদমে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল। চেতলায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ভবানীপুরে বিধায়ক মদন মিত্র নিজেরাই দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন। রোববার দুপুরে ভবানীপুরে মমতা দেওয়াল লিখন চলাকালে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে। নানা রঙের ফ্লেক্স লাগানোর পাশাপাশি রাত জেগে দেওয়াল লিখনকে উৎসবে পরিণত করেছে তৃণমূল। ময়দানে এক ইঞ্চি মাটি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল, সর্বোচ্চ সংখ্যায় ভোটারকে বুথে নিয়ে যেতে চাইছেন মমতার ভোট সেনাপতিরা।
ভোটগণনা হবে ৩ অক্টোবর। ওইদিন দুপুরেই ফল প্রকাশ। ১ এপ্রিল নন্দীগ্রামের ভোটে মমতা প্রার্থী ছিলেন। মে মাসের ফল ঘোষণায় দল ২১৩ আসন পেলেও শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তিনি। বাধ্য হয়ে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন পচিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।