প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে টিসিবির ন্যায্য মূলে পন্য মধ্যবিত্ত ও গরিব অসহায় জনসাধারণ ক্রয় করেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই সুযোগ পেয়ে সাধারণ মানুষ একটু উপকৃত হলেও নারায়ণগঞ্জ বন্দর নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিরাজের কার্যক্রমে নানা বির্তক রয়েছে। প্রায় ৩ হাজার কার্ডের মধ্যে প্রায় ৪শ’ শত কার্ডের মাল গায়েব হয়ে যায়।
জনগণ তার কার্যালয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করিলে নানা অযুহাতে জনসাধারণকে দমক দিয়ে ফিরিয়ে দেন। পরবর্তীতে দেখা যায় এই কার্ডের ব্যাপার নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ২৭ জানুয়ারি বেলা ১১টায় টিসিবির পণ্য নিয়ে গাড়ি তার বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে রেখে তার ছেলে ফরহাদ, তামিম তাদের সঙ্গীদের নিয়ে প্রায় ৪শ’ শত কার্ডের মাল পাচার করে নিয়ে যায়।
গাড়ির উপরে দাড়িয়ে থাকা টিসিবি পণ্যের ডিলার ইসমাইলের সামনে থেকে প্রতিবারই ৪শ টিসিবির পণ্য গায়েব হয়ে যায়। সে গায়েব হওয়া মাল তাদের পুকুরের উত্তর পাশে বড় গোডাউনের মধ্য দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির জামালের কথিত স্ত্রী মমতাজের ঘরে নিয়ে কিছুটা রাখে বাকিটা গোডাউনে, পরে রাতের আঁধারে এ মাল অন্যত্র চলে যায়।
গত ৩১ জানুয়ারি একই ঘটনা ঘটলে ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও তার স্বামী প্রতিবাদ করিলে তার দুই ছেলে ও তার এক সহোদর ভাই মোঃ শহিদ তাদের গালিগালাজ করে। মহিলা কাউন্সিলর ও কিছু ভোক্তভোগীরা উপায়ন্তর না পেয়ে তাৎক্ষণিক বন্দর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম.এ মুহাইমিন আলজিহান কে মুঠোফোনে ঘটনা জানালে তাৎক্ষণিক বন্দর থানার নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
কিন্তু সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরসহ কিছু মানুষ উপস্থিত থাকিলেও ভবিষ্যতের টিসিবির পণ্য পাবে কিনা এবং মারধর করবে কিনা এই চিন্তা-চেতনা নিয়ে অনেকেই মুখ খোলেনি। কারণ তার দুটি ছেলে বিগত ২০১৪ সালে তাদের তুলার গোডাউনে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করতো মদনপুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের একজন বয়স্ক লোক।
তিনি এই মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ার কারণে তাকে নৃশ্বংস ভাবে হত্যা করা হয়। পরে বিষয়টি কাউন্সিলর ধামা চাপা দেয়। এ ছাড়াও প্রত্যেক তারিখে তার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনকে ১০/১২ টি কার্ড দিয়ে মাল নিয়েও পাচার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ জনগণ পরবর্তীতে খালী কার্ড হাতে বাসায় চলে যান। এদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও তার স্বামীর নিষেধাজ্ঞা ত্বোয়াক্কা না করে উল্টো তাদের সাথে অশ্নীল আচরণ করে এবং তার ভাই শহিদ ও তার ছেলে তামিম মারধরের হুমকী দেন।
যা স্থানীয় মানুষ মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকে অবগত করেন। ভোক্তভোগীরা মেয়র ও জেলা প্রশাসকের সার্বিক সহযোগিতাসহ ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এছাড়া সামাজিক বিচারের ক্ষেত্রেও মোটা অংকের টাকা না দিলে সে সামাজিক বিচার নিয়ে গড়িমসি করেন। যার ভোক্তভোগী মুরাদপুরের নুরু ও তার ছেলে শামীম।
এছাড়া জানা যায় কাউন্সিলরের সহযোগি তামিমের সকল অশ্নীল কাজের সহযোগিতা করেন জামালের কথিত স্ত্রী মমতাজ। সমাজের সকল কার্যক্রম ও টিসিবির পণ্য সঠিক ভাবে পাওয়ার জন্য মেয়র ও জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সুবধাবঞ্চিত মানুষ।