মার্কিন নেত্বতৃধীন বাহিনীর কাছে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার ২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিচ্ছে তালেবান।
প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তাজিকিস্তানের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট প্যালেস তালেবান দখলে নিয়েছে বলে তালেবানের দুই কমান্ডার জানিয়েছেন। তবে আফগান সরকারের তরফ থেকে তালেবানের এই দাবি নিশ্চিত করা হয়নি।
তালেবান বাহিনীকে কাবুলে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে বলে সংগঠনটির মুখপাত্র জাহিবুল্লাহ মুজাহিদ স্থানীয় টোলো নিউজকে জানিয়েছেন। কাবুলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রাখা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
আফগান প্রেসিডেন্ট প্যালেস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে কাবুলের বিভিন্ন স্থান থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।
তবে তালেবানের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের কাছে আফগান সরকার শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর করবে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল সাত্তার মির্জাকওয়াল রোববার জানিয়েছেন।
স্থানীয় টোলো টিভিতে প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় মির্জাকওয়াল জানিয়েছেন, আফগান জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। রাজধানীতে কোনো হামলা হবে না। শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, তালেবানও রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তারা ‘অপর পক্ষের’ সাথে কথা বলেছেন। তালেবান সহিংসতা থেকে দূরে থাকবে বলেও ওই বিবৃতি বলা হয়েছে।
তালেবানের এক মুখপাত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কোনো কাবুলবাসীর জীবন, সম্পদ কিংবা সন্মান ঝুঁকির মুখে পড়বে না।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, আফগানিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তালেবানের সিনিয়র নেতা মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
সূত্র বলছে, তালেবানের এই নেতা রোববার সকালে আশরাফ গনি এবং আমেরিকার কূটনীতিবিদদের সঙ্গে সমঝোতা করতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হাজির হন।
এর আগে শনিবার রাতে আফগানিস্তানের উত্তরের মাজার-ই-শরিফ দখলের পর থেকেই কাবুলের পতন ঘণ্টা বাজতে শুরু করে। রোববার সকালে জালালাবাদ দখলের মাধ্যমে বর্তমান আফগান সরকারের চূড়ান্ত পতন শুরু হয়। এর পর তালেবান যোদ্ধারা দলে দলে রাজধানী কাবুলে ঢুকতে শুরু করেন।