রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশসীমাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ হিসেবে ঘোষণা করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। যদি তা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করতে দেশটিকে অনুরোধ করেছেন জেলেনস্কি।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে একটি ভিডিওবার্তা দেন জেলেনস্কি। সেখানে তিনি বলেন, ‘রুশ আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত নেই। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, হয় ইউক্রেনের আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা দিন, নয়তো আমাদেরকে প্রয়োজনীয় যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করুন।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের আকাশসীমাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করতে ন্যাটো বরাবর আবেদন জানিয়ে আসছেন জেলেনস্কি; এবং তাতে সাড়া না দেওয়ায় শনিবার এক ভিডিওবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর এই সামরিক জোটের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নেব্রাস্কার সিনেটর বেন সাসে রুশভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরটিকে জানান, ইউক্রেনের আকাশকে ‘নো ফ্লাই জোন’ হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা আপাতত যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ন্যাটোর নেই।
তার কারণ ব্যাখ্যা করে সাসে বলেন, ‘যদি ইউক্রেনের আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়, সেক্ষেত্রে দেশটির আকাশসীমা পাহারা দিতে সেখানে মার্কিন ও ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে বিমান বাহিনীর সদস্যদের পাঠাতে হবে। সেক্ষেত্রে এই যুদ্ধ আর রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে থাকবে না, রুশ- মার্কিন যুদ্ধে পরিণত হবে এবং তখন উভয় পক্ষেরই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরী হবে।’
তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ বিমান সহায়তা হিসেবে পাঠানোর বিষয়টি মার্কিন সরকারের বিবেচনাধীনে আছে বলে জানিয়েছেন সাসে। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বিমান সরবরাহের যে আর্জি তিনি (জেলেনস্কি) জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বেশ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়। মার্কিন প্রশাসন যেন এ বিষয়ে সুবিবেচনা করে, সেজন্য আমাদের পক্ষ থেকে যতখানি করা সম্ভব, আমরা করব।’
এদিকে, রোববার ইউক্রেন ইস্যুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফোনালাপে পুতিন বলেছেন, ‘কিয়েভ যদি না চায় (অস্ত্র না ফেলে) সেক্ষেত্রে অভিযান বন্ধ হবে না।’