বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা ট্রুডোর

  • আপডেট সময় বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০.৪৭ এএম
  • ০ বার পড়া হয়েছে

পদত্যাগের জন্য গত কয়েক সপ্তাহ চাপে থাকার পর শেষমেশ প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। একই সঙ্গে তিনি নিজ দল কানাডার লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই ঘোষণার মধ্যদিয়ে মি. ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবনের দীর্ঘ এক অধ্যায়ের অবসান ঘটতে যাচ্ছে।

২০১৩ সালে এমন এক সময় তিনি লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যখন দলটি গভীর সঙ্কটে নিমজ্জিত ছিল। সে সময় কানাডার হাউস অব কমন্সে তৃতীয় অবস্থানে নেমে গিয়েছিল লিবারেল পার্টি। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলে ২০১৫ সালে ক্ষমতায় বসেন ট্রুডো। এরপর থেকে টানা গত নয় বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন লিবারেল পার্টির এই নেতা। ‘আমি যখন ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হই তখন থেকেই কানাডার স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেছি। মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি আমি,’ পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন ট্রুডো। তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় আমি গর্বিত। করোনা মহামারির সময়ে আমি দেশের মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পেরেছি, গণতন্ত্রকে মজবুত করার জন্য কাজ করেছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, নিজের পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করার পর তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে লিবারেল পার্টি নতুন একজন নেতা নির্বাচিত না করা পর্যন্ত তিনি নিজ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা ট্রুডো হঠাৎ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কেন? তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর লিবারেল পার্টির পরবর্তী নেতা কীভাবে বেছে নেয়া হবে?

এ বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু তার আগেই দলেন নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হলেন জাস্টিন ট্রুডো। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে কানাডায় বেশকিছু জনমত সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে যে, কয়েক বছর আগেও জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা ট্রুডো ক্রমেই ভোটারদের আস্থা হারাচ্ছেন। এর অর্থ হলো এবারো যদি তিনি লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে থাকেন, তাহলে দলটি আগামী নির্বাচনে হেরে যেতে পারে। ফলে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের ভেতর থেকেও বেশ চাপে ছিলেন ট্রুডো।

লিবারেল পার্টির সদস্যরা গত গ্রীষ্মকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে ইস্তফা দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। ওই সময় টরোন্টোর একটি উপ-নির্বাচনে কনজারভেটিভদের কাছে ব্যাপক ভোটে পরাজিতও হয় লিবারেলরা। গত ডিসেম্বর মাসের জনমত সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যে, কানাডার নাগরিকদের মধ্যে মাত্র ২২ শতাংশ ট্রুডোর নেতৃত্বে ভরসা রাখেন। ২০১৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত নয় বছরে জনসমর্থন এতো কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেখা যায়নি।

কানাডার লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা জানিয়েছেন যে, তাদের নতুন নেতা নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য খুব শিগগিরই একটি দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন। ট্রুডোর উত্তরসূরি কে হতে যাচ্ছেন, সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বেশ কয়েক জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ট্রুডোর সরকারের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, পরিবহনমন্ত্রী অনিতা আনন্দ এবং কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মার্ক কারনির নাম বেশ আলোচনায় রয়েছেন। সূত্র : বিবিসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort