নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল সহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের চেয়ার ভাঙচুর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সম্মেলন পন্ড হয়ে যায়। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধায় বক্তাবলীর রাজাপুর আজিজ মার্কেটে আয়োজিত সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে সম্মেলনে ভোটাভোটির শুরুতে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহামুদের সমর্থক দিল মোহাম্মদ দিলুন অন্য সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে উস্কানীমূলক আচরণ করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
পরে দুই পক্ষকে নিরব থাকার জন্য ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী মাইকে ঘোষণা দেয়ার পরও নিরব না থেকে দুই পক্ষের লোকজন আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি। একপর্যায়ে কাউন্সিলররা সম্মেলন থেকে ছুটাছুটি শুরু করে স্থান ত্যাগ করে।
জানা যায়, বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরুতেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা তাদের নাম প্রস্তাব করেন। পরে ভোটাভোটি শুরু হয়। শৃঙ্খলা ভাবে ভোট গ্রহণ চলে।
একপর্যায়ে সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহামুূদের সমর্থক দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিন সহ আরো কয়েকজন আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য গালমন্দ করতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির রূপ নেয়।
এসময় শওকত আলী মাইকে সবাইকে নিরব থাকার জন্য বলা হলেও শফিক মাহমুদের সমর্থকরা নিরব না থেকে আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। এসময় দিলুনের বেশি বাড়াবাড়ি দেখতে পেয়ে শওকত আলী দিলুনকে সাবধান হয়ে যাওয়ার জন্য বলার পর শুরু হয় উত্তেজনা। দুই পক্ষের মধ্যে চলে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি। পরে কাউন্সিলর ও ডেলিকেটাররা ছুটাছুটি করে স্থান ত্যাগ করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরে সম্মেলন স্থগিতের ঘোষণা দেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল।
সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ বলেন, আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থকরা কাউন্সিলরদের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলে আমার লোকজন বাধা দিতে গেলে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিন্তু পরে শওকত চেয়ারম্যান সাহেব উস্কানিমূলক কথা বলে সম্মেলন বিশৃঙ্খলা আরো বাড়িয়ে দেয়।
অন্য সভাপতি প্রার্থী আবুল হোসেন প্রধান বলেন, শফিক মাহমুদের নিশ্চিত পরাজয় ভেবে তারই সমর্থীত দিলুন সহ আরো লোকজন পরিকল্পিত ভাবে সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে উশৃংখল কথা বার্তা বলে দলের লোকদের উত্তেজিত করে সম্মেলন পন্ড করে দেয়।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, সম্মেলন শুরুতেই শফিক মাহমুদ সহ তার লোকজন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দলের সিনিয়র নেতাদের সামনে উশৃংখলা সৃষ্টি করে।
যারা সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষ করে শফিক মাহমুদ, দিল মোহাম্মদ দিলুন, মহিউদ্দিন সহ আরো কয়েকজন সম্মেলনে বিশৃঙ্খলা করে সম্মেলন পন্ড করে দেয়।