নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ এক বিবৃতিতে বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহরে হঠাৎ করে হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক, সিটি মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে হকারদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সম্মানীত ব্যক্তিদয় আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। একাধিকবার হকারদের নিয়ে আলোচনায় বসেন কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি। উনারা হকারদের লিস্ট চেয়েছেন এবং কম করে দিতে বলেছেন। আমরা শহরের ৫ হাজার হকারের মধ্য থেকে ২২ শত হকারের লিস্ট জেলা প্রশাসক ও মাননীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান মহোদয়ের নিকট জমা দিয়েছি। তথাপি সম্মানীত ব্যক্তিদয় বলছেন আমরা লিস্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছি এই কথাটি সঠিক নয়। উনি একেক বার একেক রকম কথা বলেছেন। যখন যে ভাবে বলেছেন সেই ভাবে হকার লিস্ট দেয়া হয়েছে। কখনো বলেছেন যারা নারায়ণগঞ্জের ভোটার শুধু তাঁদের লিস্ট দিতে আবার বলেছেন নারায়ণগঞ্জের বাহিরের গুলোসহ সব এক সাথে দিতে। তিন ধাপে ৫শত করে পুর্নবাসন ব্যবস্থা করা হবে। আমরা মনে করি এভাবে হকার সমস্যা সমাধান হবে না। কাকে বাদ দিয়ে কাকে দিবেন। এই সিস্টেম হকাররা মেনে নিবে না। সকল হকারদের স্থায়ী ভাবে পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে ও তাঁর আগ পর্যন্ত ফুটপাতের এক পাশে বিকেল ৫টার পর বসতে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা না করে মন উনারা মনগড়া সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শুনা যায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদয় হকারদের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সলিমুল্লাহ সড়কের চাষাড়া থেকে মেট্রো হলের মোর পর্যন্ত কুরবানীর ঈদ পর্যন্ত বসানোর চিন্তা করছেন। যেখানে ৮শত হকার বসতে পারবে তাহলে বাকীরা কোথায় যাবে? এছাড়া এই সড়কে হকার বসলে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নগরবাসীর জন্যও মঙ্গলজনক হবে না। কেননা খানপুর হাসপাতলসহ এ সড়কে অনেক গুলো প্রাইভেট হাসপাতাল রয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে হকারদের একটা স্থায়ী পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। হকাররা দীর্ঘদিন যাবৎ দোকানদারি করতে পারছে না। যেখানেই বসার চেষ্টা করে সেখানেই পুলিশী নির্যাতন করা হচ্ছে। ফলে হকাররা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছে। সামনে রমজানের ঈদ দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান ও পুর্নবাসনের আগ পর্যন্ত ফুটপাতে জনসাধারনের চলাচলের যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেই বিষয় বিবেচনায় রেখে পূর্বের ন্যায় বিকেল ৫ টার পর ফুটপাতে এক পাশে বসতে দেয়ার অনুরোধ জানাই। অন্যথায় পুর্নবাসন ব্যবস্থা ছাড়া হকার উচ্ছেদের নামে জুলুম নির্যাতন মেনে নেয়া হবে না। হকারদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।