হকারদের পুর্নবাসন করা ও তাঁর আগ পর্যন্ত ফুটপাতে বসে দোকান করতে দেয়ার দাবিতে সমাবেশ ও সিটি মেয়র’কে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ ও মিছিল নিয়ে নগর ভবনে গিয়ে স্বারকলিপি দেয়া হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা হাফিজুল ইসলাম, জেলা কমিটির সভাপতি আঃ হাই শরীফ, সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, জেলা কমিটির সদস্য এম এ শাহীন, আরও বক্তব্য রাখেন হকার্স লীগের মহানগর কমিটির সভাপতি রহিম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ পলাশ, হকার নেতা মোঃ রানা মিয়া, শাহীন, সোহেল, তাসির ও নিলুফা বেগম প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে সীমাহীন বেকারত্বের কারণে বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদের হকারির পথ বেছে নিতে হয়েছে। ফুটপাতে বসে দোকানদারি করে আমরা জীবীকা নির্বাহ করি। দরিদ্র ক্রেতা সাধারণ আমাদের কাছ থেকে অল্প দামে মালামাল ক্রয় করে সুবিধা পায়। ক্রয় বিক্রিয়ের মাধ্যমে আমরা দরিদ্র মধ্যবিত্ত জনসাধারনের প্রয়োজন মিটাই। হঠাৎ করে আমাদের উচ্ছেদ করা দেয়া হলো এখন আমরা কোথায় যাবো, কিভাবে বাঁচবো? সেটা বিবেচনা না করে জনপ্রতিনিধিরা হকার উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ৫ হাজার হকারকে চরম বিপদে ফেলে দিয়েছে। এই অমানবিক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
দেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্ম করে খাওয়া ও বাঁচার অধিকার আছে। সেই অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। জোরপূর্বক বল প্রয়োগের মাধ্যমে হকারদের ক্ষতিগ্রস্ত করে উচ্ছেদ ও দমন-পীড়ন নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সরকারের দখলকৃত জায়গা দখলমুক্ত করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে হকারদের পুর্নবাসন ব্যবস্থা করতে হবে। পুর্নবাসনের আগ পর্যন্ত ফুটপাতের এক পাশে বসে দোকানদারি করার সুযোগ দিতে হবে। ফুটপাতে জনসাধারনের চলাচলের যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেই বিষয় বিবেচনায় রেখে বিকেল ৫ টার পর এবং সরকারি ছুটির দিনে হকারদের বসতে দেয়ার জন্য সিটি মেয়র’কে স্বারকলিপি দিয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাঁরা আরও বলেন, হকারদের কারণে শহরে যানজট সৃষ্টি হয় না। রাস্তার উপরে প্রাইভেটকার ও মটরসাইকেলের অবৈধ পার্কিং এর কারণে যানজট হয়। হকারদের অভিযুক্ত করে পেটে লাথি দিয়েন না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের কর্ম করে খাওয়া ও বাঁচার অধিকার আছে। সেই অধিকার কেড়ে নেয়ার অধিকার কারো নেই। গত এক সপ্তাহ যাবত হকাররা ফুটপাতে দোকানদারি করতে না পরায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছে। অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে হকারদের সমস্যা সমাধানের জন্য সিটি মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের নিকট জর দাবি জানানো হয়।