নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুব আনন্দের। কারণ দীর্ঘ ৫০ বছর পর আমরা চিন্তা করতে পারছি যে আমরা এখানে একটা স্মৃতিসৌধ বানাতে পারবো, যার মাধ্যমে মানুষ জানতে আমাদের দেশ কেনো স্বাধীন হয়েছে, কেনো আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, কেনো বঙ্গবন্ধু আমাদের যুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের বাংলাদেশকে তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত মানের স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিবেন। তারই জন্য আমাদের জেলা প্রশাসক অতন্ত জরুরীভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে কেনো আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যুদ্ধের আসল ইতিহাস কি। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশের সূচনা আমরা এখান থেকে শুরু করলাম। হয়তো আমরা তেমন কিছু দেখতে পারবো না, কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখবে। আমি আশা করি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একদিন এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বন্দর উপজেলায় সমরক্ষেত্র মাঠে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায়, ‘নারায়ণগঞ্জ স্মৃতিসৌধ’ এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন মিলে এখানে স্মৃতিসৌধ তৈরী করছে। আমরা এটা বানাতে সকলের সহযোগীতা চাইবো। শুধু ফুল দেয়ার এই স্মৃতিসৌধ বানাবো না। মানুষ যাতে এই স্মৃতিসৌধ দ্বারা শিক্ষা নিতে পারে মুক্তিযুদ্ধের সেটাই আমাদের সাফল্য। আমরা এখন ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করলাম, আশা করি আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এটা সম্পূর্ণভাবে গড়ে তুলবো।
তিনি আরও বলেন, এই স্মৃতিসৌধে বন্দরের মুক্তিযুদ্ধে কি কি হয়েছে। কারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছে, সমস্ত ইতিহাস এখানে তুলে ধরবো। শুধু বন্দরের না, সারা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. ইসমত আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এইচ. এম. সালাউদ্দীন মনজু, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান ও বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিএম কুদরত এ খুদা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া ইয়াসমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ (সানু), কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সালাম মিয়া, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ, ধামঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।