আদালত প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী আওয়ামী ১-১০ নং অভিযুক্ত হাজতী আসামী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পন্ড করার লক্ষে সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শর্টগান, ককটেল, লাঠিসোঠা, ইটপাটকেল, রামদা, ইত্যাদি সজ্জিত হয়ে গুলি বর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলায় তালিকাভুক্ত অভিযুক্ত হাজতী আসামী ওসমান গনিকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার ( ৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামছুর রহমান এর আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে ককটেল বিস্ফোরণ, পিস্তল, রাইফেল, বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র ও হত্যার চেষ্টার
দায়ে চিহ্নিত অপরাধী ওসমান গনি নামের এক আসামীকে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত জিআরপি পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামীকে ৭ দিনের নোনারগাঁ থানার পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামী ওসমান গনিকে এক দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ প্রদান করেন।
হত্যাসহ ককটেল বিস্ফোরণ, পিস্তল, রাইফেল, বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র ও হত্যার চেষ্টার দায়ে বিভিন্ন থানার করা মামলার ১৫৯নং তালিকাভূক্ত হাজতী আসামী সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানারপাড় এলাকার মৃত আব্দুল আলীর ছেলে ওসমান গনি (৬০)।
সোনারগাঁ থানা সূত্রে জানা যায়,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে পন্ড করার লক্ষে সোনারগাঁ থানাধীন কাঁচপুরস্থ ঢাকা-সিলেট মহসড়কের কাঁচপুর সেনপাড়া সিনহা গার্মেন্টস এর সামনে ককটেল বিস্ফোরন ঘটাইয়া যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিয়া জনমনে আতংক তৈরী করে এবং তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাথারী গুলি ও মারধর আরম্ভ করেন। ভূক্তভোগী মহসড়কের কাঁচপুর সেনপাড়া সিনহা গার্মেন্টস এর সামনে পৌঁছালে অভিযুক্ত আসামীদের ছোড়া গুলি ভক্তভোগীর ডান পায়ে গুলিবৃদ্ধ হয় এবং গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। আহতের আত্মীয় স্বজন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে বাদীকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বাদী বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
এছাড়া আরোও উল্লেখ্য রয়েছে, ওসমান গনি এজাহার নামীয় ১৫৯নং আসামী। ওসমান গনি আওয়ামীলীগ এর রাজনিতীর সথে জড়িত। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে আসামী তার সহযোগী আসামীদের নিয়ে অত্র মামলার ঘটনার পূর্বে এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে নস্যাৎ করার লক্ষ্যে গোপনে বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে। অত্র মামলার ঘটনার পর থেকে আসামী আত্মগোপনে ছিল।
স্থানীয়রা এবিষয়ে জানান, ঘটনার দিন সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, সদর ও বন্দর থেকে অসংখ্যক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী ও শামীম ওসমানের দোসরা উপস্থিত হয়ে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ চালায়। অনেক আসামী জামিনে এসে বাদীদেরকে হুমকী প্রধান করছে। বিজ্ঞ আদালত যেন এধরনের চিহ্নিত আসামীদের প্রতি কঠর অবস্থানে নেয় সে প্রত্যাশা করছি।