সোনারগাঁয়ে ডাঃ শিউলি সরকারের ভুল চিকিৎসায় আইসিউতে মৃত্যুশয্যায় প্রসূতি তিন্নি আক্তার (২১)। সোনারগাঁও সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমবিবিএস পাশ করা শিউলি সরকার গাইনী বিশেষজ্ঞ না হয়েও নিজেই তিন্নি আক্তার নামের এক প্রসূতিকে সিজার করেন। সিজারের পর থেকেই তিন্নির অবস্থা খারাপ হতে থাকে।
পরবর্তীতে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় প্রায় ২ সপ্তাহ যাবত তাকে আইসিইউতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রসূতি তিন্নি আক্তারের বোন জামাই ইসমাইল মেম্বার বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসূতির স্বজনরা জানান, ডাঃ শিউলি সরকার সিজারের কিছু দিন পর থেকেই পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এই রোগী। গত মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেননি।
প্রসূতির স্বামী নয়ন জানান, গত ৩০শে আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার সময় উপজেলার হাবিবপুরে সোনারগাঁ সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডাক্তার শিউলী সরকারের মাধ্যমে সিজার করানো হয়। সিজারের পরে ২সেপ্টেম্বর বাচ্চা সহ রোগীকে রিলিজ দিয়ে বাসায় প্রেরণ করেন।
৪দিন পর রোগীকে আবার ঐ হাসপাতালেই অপারেশনের সেলাই কেটে ওয়াশ করে বাসায় পাঠিয়ে দেন ডাক্তার শিউলী সরকার। গত ১১ তারিখ হঠাৎ রাতে রোগীর খিচুনী উঠে ১২টার দিকে ঐ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সিকিউরিটির ও নার্সদের মাধ্যমে ডাক্তার শিউলী সরকার কে খবর দেওয়া হয়।
কিন্তু তাকে না পেয়ে সিকিউরিটির মাধ্যমে ঠিকানা নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে আমার দুলাভাই ইসমাইল মেম্বার ডাক্তার শিউলী সরকারকে নিয়ে আসতে যান। তাতেও তিনি সাড়া দেননি। নিরুপায় হয়ে রাত ২টার দিকে ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি আরও জানান, ডাক্তার শিউলী সরকারের ভুল চিকিৎসায় আজ আমার স্ত্রী বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু শয্যায় রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার শিউলী সরকারকে একাধিক বার ফোন করলে কল রিসিভ করেননি।