স্টাফ রিপোর্টারঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সনমান্দী ইউনিয়নে ২৪ জানুয়ারী সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছালমা আক্তার ৬ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রে জানা গেছে, জমিজমা ও পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মোঃ জালাল, তার ভাই মজিবর, মজিবরের স্ত্রী শরুফা, ছেলে সুমন, মেয়ে রুমি, ভাই মোস্তফার স্ত্রী মুক্তারা বেগম দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহাবুদ্দিন খানের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তারা গ্যাসের পাইপ, বটি, চাকু, ছুড়ি ও লাঠি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে শাহাবুদ্দিন, তার স্ত্রী ছালমা আক্তার ময়না, ছেলে শাওন খান, মেয়ে সাকিলা আক্তার, ছোট মেয়ে সুমাইয়া খানমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক রক্তাক্ত জখম করে। পরে শাহাবুদ্দিনের ঘরে থাকা ১টি মোবাইল, কানের দুল ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী জালাল ও তার ভাই মজিবরসহ পরিবারের সবাই বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুত্বর আহত ৫ জনকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের মাঝেরচর গ্রামের ভূমিদস্যু মজিবর ও তার ভাই নারী লোভী মোঃ জালালের সাথে শাহাবুদ্দিনের জমিজমা ও পাবিরারিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত ২৩ জানুয়ারী রোববার শাহাবুদ্দিন তার জমিতে ধান রোপন করতে যায়। এসময় সন্ত্রাসী জালাল এসে ধান রোপন করতে বাঁধা দেয়। বিষয়টি এলাকার মাতবর প্রধানকে জানালে পরদিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে জালাল ও তার ভাই মজিবর এবং তার পরিবারের সবাই এ ঘটনা ঘটায়।
সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুত্বর আহত শাহাবুদ্দিন জানান, আমার প্রতিবেশি জালাল ও তার ভাই মজিবরের পরিবারের সবাই আমাদের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি জমা নিয়ে বিরোধ চালিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন মজিবরের স্ত্রী এসে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথমে আমার বুকে ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই। পরে তাদের পরিবারের সবাই এসে আমাদের পরিবারের সবাইকে বটি, লোহার পাইপ ও লাঠি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করে। হামলার ঘটনায় আমি সুবিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মারামারির ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান জানান, আমি করোনায় আক্রান্ত। বিষয়টি এসআই মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।