সোনারগাঁওয়ে মসজিদ ও ঈদগাহ জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মীরেরবাগ এলাকায় মীরেরবাগ জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য ক্রয়কৃত জায়গা দখলের এ অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় শনিবার (2 অক্টোবর) দুপুরে মসজিদের মুসল্লীগণ ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মীরেরবাগ এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী পলাশ ও পারভেজ আপন দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ ও ঈদগাহ’র জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করছে। গত ছয়মাস পূর্বে মীরেরবাগ এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে হানিক ও মৃত আব্দুল হেকিম ওরফে হাকিমের ছেলে বাবুলের ভোগ দখল করে আসা পৈতৃক সম্পত্তি থেকে মসজিদ ও ঈদগাহের জন্য ৮ শতাংশ জায়গা ক্রয় করা হয়।
গত বুধবার মসজিদের কাজ করতে গেলে লেঙ্গটপুর মৌজায় সি এস ৫৫, আর এস ৪৫, সি এস দাগ ৪০ এবং আর এস দাগ ১৫১-এ মসজিদ ও ঈদগাহের জায়গায় ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী নিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে পলাশ ও পারভেজ বাঁশ দিয়ে বাউন্ডারি করে দখলের চেষ্টা করে।
এলাকাবাসী ও মুসল্লীগণ তাদের বাধা দিলে তারা ওই জায়গা নিজেদের বলে দাবী করেন এবং মুসল্লীদের প্রাণনাশের হুমকিসহ মামলা হামলার ভয় দেখায়। এ নিয়ে মীরেরবাগ এলাকায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে মসজিদের মুসল্লীগণ ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে।
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হক জানান, বাচ্চু মিয়ার ছেলে পলাশ ও পারভেজ দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের জায়গাটি নিয়ে এলাকাবাসীদের হয়রানি করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে একাধিকবার সামাজিক ভাবে বসে মিমাংসা করার কথা থাকলেও তারা প্রতিবার কথা রাখেনি। আজও সামাজিক ভাবে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সপেক্টর ইকবাল হোসেনকে নিয়ে বসে মিমাংসা করার কথা ছিল। তারা যদি মালিক হয়ে থাকে তাহলে কেন তাদের কাগজপত্র নিয়ে বসতে চাইছেনা?
মীরেরবাগ মসজিদ কমিটির সভাপতি ও দাতা-সদস্য বিল্লাল হোসেন জানান, কেউ যদি মসজিদ ও ঈদগাহের জায়গায় তাদের সম্পত্তি আছে বলে দাবী করেন তাহলে বারবার সময় দেয়ার পরও কেন বসতে চায়না? তাদের জায়গার কাগজপত্র দেখাতে পারলে তারা তাদের সম্পত্তি নিয়ে নিবে এতে মসজিদ কমিটির কোন আপত্তি থাকবেনা।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী পলাশ ও পারভেজ মসজিদ কমিটি ও এলাকাবাসীকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করবো এবং উপর মহলে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাবো।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইন্সপেক্টর এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, মীরেরবাগ জামে মসজিদ ও ঈদগাহের জায়গাটি নিয়ে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে থানায় বসে মিমাংসা করা হবে। এখানে কেউ মালিক না হয়ে দখলের পায়তারা করতে পারবেনা।