রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা থেকে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, স্থানীয়রা আটক করেছিল ওই ব্যক্তিকে। তাদের কাছে আসামিকে সোপর্দ করার আগেই সে পালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুক্কুর আলী নামে এক ব্যক্তিকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করে এলাকাবাসী। তাদের মতে, ডাকাতির প্রস্তুতি করছিল ওই ব্যক্তি। তার কাছ থেকে একটি চাপাতি, ছুরি ও একটি মোটর বাইকও উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাদের গণপিটুনিও দেওয়া হয়। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে শুক্কুর আলীকে সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনায় মোখলেসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
মোখলেসুর রহমান বলেন, গতরাতে শুক্কুর আলী উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর এলাকায় তার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিল। তাকে স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে রাত রাত ১২টার দিকে সোনারগাঁ থানায় নিয়ে ডিউটি অফিসারের কক্ষে রাখা হয়। সকাল ৮টার দিকে ডিউটি অফিসার নিজের কাজে কক্ষের বাহিরে যায়। বাহির থেকে ফিরে তিনি দেখেন, ওই কক্ষ থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসামি পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, শুক্কুর আলীকে স্থানীয়রা মারধরও করেন। মারধরের এক পর্যায়ে সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়ার মামুন ও চেঙাকান্দি গ্রামের জামালের সহযোগিতায় ডাকাতির প্রস্তুতির কথা স্বীকারও করেন। পরে মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আসামি শুক্কুর আলী আড়াইহাজার উপজেলার বাড়ীপাড়া এলাকার হযরত আলীর ছেলে।
তবে আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান। তার দাবি, ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগ তারা পেয়েছেন। এই ঘটনায় স্থানীয়রা একজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। তবে আসামিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়নি।
ওসি বলেন, ‘আসামিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় আনার কথা বলা হয়েছিল। পরে থানায় আসামিকে আনা হয়নি। স্থানীয়দের হাত থেকেই আসামি পালিয়ে গেছে। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’