শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

সোনারগাঁয়ের সাবেক ওসি ও এস.আই‘র বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৪.১২ এএম
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মোর্শেদ আলম এবং সাবেক সেকেন্ড অফিসার এস আই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞ জজ আদালত নারায়ণগঞ্জ এর বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

আদালত আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। যার নং ১৬৩/১৮

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ওই বছরের ৮ অক্টোবর রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের নগর সাদিপুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম স্বপনের বাড়িতে হানা দেন সোনারগাঁ থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাক। এ সময় স্বপনকে ঘুম থেকে উঠিয়ে পৌরসভা এলাকার চৌদানা মৌজায় থাকা তার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে বসতঘরের জমি ছেড়ে দিতে বিভিন্ন হুমকী-ধমকী দেয়। স্বপন পুলিশের কথার বিরোধীতা করলে তার স্ত্রী-সন্তানের সামনে হাত ও চোখ বেঁধে ধরে সোনারগাঁও থানায় নিয়ে যায়। পরে লকাপে রেখে ওসি এবং এসআই ব্যাপক নির্যাতন করে চৌদানা মৌজার ১৭২ শতাংশ জমির দখল ছেড়ে দিতে আবারো চাঁপ দেয়। এমনকি দখল ছেড়ে না দিলে ক্রসফায়ার করে জীবনে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।

নির্যাতনের এক সময় স্বপন অসুস্থ হয়ে পরলে পুলিশ স্বপনকে মুমুর্ষবস্থায় সোনারগাঁও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরদিন সোনারগাঁও থানা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদ গিয়ে জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে নিয়ে আসে।

এ ঘটনায়, ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার চিলারবাগ এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আনিসুর রহমান আলমগীর বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ নারায়গঞ্জ আদালতে সোনারগাঁও থানার তৎকালীণ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোর্শেদ আলম এবং একই থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেন।

পরে জমির মালিক জাহিদুল ইসলাম স্বপন গং জমি বেদখল হওয়ার আশঙ্কায় সিনিয়র সহকারী জজ, সোনারগাঁও আদালতে সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাকসহ আরো কয়েকজনকে বিবাদী করে একটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করে।

মামলার বাদী আনিসুর রহমান আলমগীর বলেন, শুধু নির্যাতনই নয় টাকা দাবি করছিলো ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আমাদের দুইজনকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করার পর জাহিদের কাছ থেকে টাকা দাবি করেছিলো। আমি ছিলাম স্বাক্ষী। আমার উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় আমার পরিবারকে প্রতিনিয়ত ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছে। আমার দাবি হলো দ্রুত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হোক।

মামলার আইনজীবী মৃণাল কান্তি দত্ত জানান, ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের করা মামলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় তদন্তও হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort