সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা ও অনিয়মের তোয়াক্কা না করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী হাসান আলী খাঁন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে চায়ের দোকান থেকে বাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন রকমের আলোচনা সমালোচনা চলছে।
স্থানীয় সচেতন মহলের কাছে শোনা যায়, নবগঠিত পকেট কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে বিদ্যালয়টিতে নতুন কমিটি গঠন করা হোক।
স্থানীয় এলাকাবাসীসূত্রে জানা যায়, গত ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং সালে শিক্ষাবোর্ডের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসারে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য মনোনয়ন পত্রের মূল্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩ হাজার, জেলা-সদর ও পৌরসভায় ২ হাজার ও অন্যান্য এলাকায় ১ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। দেশের শিক্ষাবোর্ডের প্রজ্ঞাপনকে কর্ণপাত না করে হাসান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মনোনয়ন পত্রের জন্য ২০ হাজার টাকা নির্ধারন করলে বাধ্য হয়ে প্রার্থীরা ২০ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনেক অভিভাবকদের ইচ্ছা থাকলেও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কারনে অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা ভাবছেন।
মনোনয়ন সংগ্রহকারী ও সাবেক ইউপি সদস্য মোমেন বলেন, আমাদের নিকট হতে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরম ২০ হাজার টাকায় ক্রয় করার পর জানতে পারি এই ফর্মের মূল্য মাত্র ১০০০/- টাকা। আমরা সকলেই ভুক্তভোগী, তাই এই ঘটনার সঠিক তদন্তসহ দেশের প্রচলিত আইনে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনার ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি একটি ভিডিও বক্তব্যে স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশেই আমি ২০ হাজার টাকা করে নিচ্ছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনিরের কাছে সদস্য ফরমের অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য নিচ্ছি। বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির স্থানীয় একাধিক সাংবাদিককে ফোন করে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু তালেব বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ম নীতির বহির্ভূত। বিদ্যালয়টির এমন ঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।