সোনারগাঁ প্রতিনিধিঃ সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মুজাহিদ মল্লিকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এর বিরুদ্ধে চাঁদা না দেয়ায় শ্রমিকদল নেতার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পিএস রহিম মিয়াকে এলাকাবাসী আটক করলেও পুলিশ হেফাজতে তাকে ছেঁড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী উপজেলা শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান মিয়া। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ভূক্তভোগী হান্নান মিয়া সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগীসূত্রে জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর থেকে উপজেলা জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল-মুজাহিদ মল্লিকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে পরিচিত এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী রহিম মিয়া একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। গত কয়েক মাস ধরে শ্রমিক দলের নেতা হান্নানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মুজাহিদ মল্লিকের নামে প্রতিমাসে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে সে। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে মুজাহিদ মল্লিকের নির্দেশনায় পিএস রহিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হান্নান ও তার ছেলে মেহেদীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়৷ এসময় হামলাকারীরা আশপাশের প্রায় ১০/১২ টি ঘরে প্রবেশ করে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় এবং সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসী রহিম মিয়াকে আটক করে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ভাইরাল হয়। পুলিশ বিষয়টি দেখবে বলে অভিযুক্ত রহিমকে তাদের হেফাজতে নিয়ে পরে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করে তাকে ফের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ভূক্তভোগী হান্নান অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর ভাংচুর ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আল মুজাহিদ মল্লিকের পিএস অভিযুক্ত রহিম মিয়া চাঁদাবাজির বিষয়টি আড়াল করতে গিয়ে বলেন, চাঁদাবাজি, ভাংচুর কিংবা লুটপাটের সাথে আমি জড়িত নই। আটকের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা আমার পূর্ব-পরিচিত, তার সাথেই আমি ঘটনাস্থলে যাই। তখন এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে আমার সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। আমাকে আটক করা হয়নি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খাঁন জানান, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি৷ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।