নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকা সহ আশেপাশের এলাকাগুলো অপরাধ জগত ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। আর এই অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রক একজন চেয়ারম্যান ও তার গৃহ পালিত চাঞ্চল্যকর দৌলত হোসেন মেম্বার হত্যা মামলার ১ নং এযহার নমিও আসামী রুবেল মেম্বার এবং জাবেদ( ৩৮)নামের আরেকজন এতিম সুজন হত্যা মামলার চার্জ শীট ভুক্ত কুখ্যাত খুনি তারা এখন মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।এলাকার চিহ্নিত দাগি অপরাধীদের নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন গোগনগর এলাকা জুড়ে। সশস্ত্র অবস্থায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সদর উপজেলার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত। ভয়ঙ্কর এই রুবেল বাহিনীর পুরনো নাম সদর থানার তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং বিচ্ছু বাহিনী গ্রুপ। রুবেলও জাবেদ বাহিনীর ত্রাসের কারণে জিম্মি হয়ে আছে পুরো এলাকার বাসিন্দারা। নিরীহ মানুষের জমি দখল খুন মাদক অস্ত্রগুলির ব্যবসা সহ গুরুতর সব অপরাধ করে বেড়াচ্ছেন এ বাহিনীর সদস্যরা।
গত কিছুদিন আগেও নতুন সৈয়দপুরের একটি কবরস্থানের জায়গার পাওয়ার অব এটনী নেয় সন্ত্রাসী রুবেল মেম্বার গংরা পরবর্তীতে এলাকাবাসীর রোশনলে জায়গা দখল করতে না পেরে সেখান থেকেফিরে আসে। রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ আইনের আশ্রয় নিলেও বিভিন্ন মামলায় দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। উল্টো মামলা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে তাদের। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখনই এসব সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আইনশৃঙ্খলা চরম অবনতি হওয়ার আশঙ্ক রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের লালন কর্তারা যত বড় দায়িত্বশীল পদে থাকুক না কেন এসব অপরাধের দায় গডফাদার চেয়ারম্যান এরাতে পারেন না। দ্রুত সময়ে তাদের গ্রেপ্তার করে অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করতে হবে। আর না হয় কয়েকদিন পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। রুবেল মেম্বার দৌলত খুনের মামলায় জামিন নিয়ে এসে এলাকায় ঢোল বাজিয়ে খুনিদের নিয়ে উল্লাস নৃত্য করতে দেখা গিয়েছে কয়েকদিন আগে। তার সাথে ছিল নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আরেক তালিকাভুক্ত পাইকপাড়ার এতিম সুজন হত্যা মামলার আসামি জাবেদ। এর বিরুদ্ধে মাদকসহ রয়েছে ডজন খানেক মামলা। বিভিন্ন মিছিল মিটিং প্রকাশ্য দেখা যায় তাদের একসাথে রুবেল মেম্বার ও জাবেদ কে ।খুনের ঘটনা তাদের কাছে এখন মনে হয় নিত্য নৈমুত্তিক ব্যাপার। শহরে খুব সুন্নিকটে গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকা বিভিন্ন কলকারখানা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ঘরে ওঠার কারণে জায়গার মূল্য বেড়ে হয়েছে চার গুণ।
বর্তমানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রড সিমেন্ট মালামাল চুরি হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত আর এসব অপরাধে সাথে রুবেল বাহিনী এবং জাবেদ জড়িত বলে মনে করে এলাকাবাসী। এক সময় রুবেলের নুন আনতে পান্তা ফুরালেও এখন আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় না। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি খুন মাদক কারবারে নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তার হাতে। এখনো বিভিন্ন ছোটখাটো বিষয় নিষ্পত্তি না করে উল্টো কিশোর ছেলেদের উস্কানি দিয়ে খুনের ঘটনা পুনরায় ঘটাতে যাচ্ছে। তাই অচিরেই তাদের গ্রেপ্তার করে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে সচেষ্ট ভূমিকা রাখবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই জোর দাবি এলাকাবাসীর ।