নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, ২০০৩ সালে আমি যখন দেশে আসলাম পৌর সভার নির্বাচন করার জন্য তখন গিয়াস উদ্দিন কাকা সে সময় মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। ওনি আমাকে টেলিফোন করেছিলেন সেসময় দেশের অবস্থা অনেক সুচনীয় ছিল। অনেকেই পলাতক ছিলেন। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ শহরের মধ্যে নাই। সাধারন মানুষ এই শহরে বিরাজমান ছিল। ওই সময়ে গিয়াসউদ্দিন কাকা আমাকে ফোনে সমর্থন দিলেন এবং আমাকে বললেন শহর আওয়ামীলীগের সমর্থন তোমার প্রতি, তোমাকেই আমরা নমিনেট করবো। তুমিই আমাদের কেন্ডিডেট।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাপ্পী চত্ত্বর এলাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন৷ এর আগে ওই এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা সড়কের নামফলক উন্মোচন করেন তিনি।
মেয়র আরও বলেন, আরেকজনের কথা না বললেই নয় ছোট ভাই বাপ্পি। বাপ্পিকে ছোট বেলায় দেখেছি ও আমার বাবার বন্ধুর ছেলে। ওর নির্মম মৃত্যু যদি না হতো ও আজ অনেক বড় নেতা থাকতো। কিন্তু অনেকের চক্ষুশুলের কারণে আমাদের মাঝে বাপ্পি নেই। আমি বাপ্পিকে স্বরণ করছি। আরেক ছোট ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে সে ছাত্রলীগের রনি। ২০১১ নির্বাচনে রনিকে নারায়নগঞ্জ ক্লাবের সামনে ওই অপজিশন কেন্ডিডেট শামীম ওসমান নির্মম ভাবে মারধর করেছিল যদি র্যাব সেখানে উপস্থিত না থাকতো ওকে সেদিন মেরে ফেলা হতো।
তিনি আরও বলেন, ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬ জন কাউন্সিলরকে আমি কখনো বিবেদ করি নাই, কে আওয়মীলীগ করে, কে বিএনপি করে, কে ভাইয়ের লোক, কে আইভির লোক, আমি কখনো কাউকে আমার লোক বানানোর চেষ্টা করি নাই, আমি সকল কাউন্সিলরদের বলে দিয়েছি জনগনের ভাই হন, জনগনের কাছে যান, জনগনের কাজ করেন, আমার মনে হয় কাউন্সিলর কবির কাকা সেই কাজটি করতে পেরেছেন, কোভিড মহামারিতে কাউন্সিলররা যেভাবে কাজ করেছেন, আপনাদের পাশে দাড়িয়েছেন অবশ্যই আপনারা সে কথাটি মনে রাখবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা হাসান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসাইন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরফুদ্দিন রবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ৷