স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে আলোচনা শুরু হবে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সংসদে ১৪৭ বিধিতে প্রস্তাব তুলবেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। সংসদে ১৪৭ বিধিতে দুই দিনব্যাপী এই আলোচনা করে বৃহস্পতিবার তা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে মুজিববর্ষের বিশেষ অধিবেশনের প্রস্তাবটিও তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বুধবারের বৈঠকের শুরুতেই বিকাল ৩টায় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মারক ভাষণ প্রদান করবেন।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে আনীত প্রস্তাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করবেন। বৃহস্পতিবার বিশেষ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হবে। অতীতের রেওয়াজ অনুযায়ী বিশেষ আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশন মুলতবি ঘোষণার আগে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দুদিনের বিশেষ আলোচনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। বর্ণাঢ্য ও যথাযথ মর্যাদায় সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের জন্য জাতীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বছরব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
স্পিকার আরও বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর বিশেষ আলোচনা হবে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অধিবেশনে সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে আনীত প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনা জন্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। আগামী ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুবর্ণজয়ন্তী আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।