সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. আল ফাহাদ (১৪) এর উপর কিশোর গ্যাং এর বর্বোরচিত হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সহপাঠী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
হামলার শিকার স্কুল ছাত্র আল ফাহাদ মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সস্টিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কিশোর গ্যাং’র রডের আঘাতে তার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
রোববার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় মিজমিজি পাইনাদী রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মিজমিজি পাইনাদী এলাকার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
মানববন্ধনে কিশোর গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমার ভাইয়ের উপর যারা হামলা করেছে তারা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থানায় মামলা হলেও পুলিশ তাদের এখনও গ্রেপ্তার করছে না। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে সামনে কঠিন আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় পুকুরে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামাল (৪৮) এর নির্দেশে স্কুল ছাত্র মো. আল ফাহাদকে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে মো. মাহিন (১৮), সাহেদ (১৮) সহ কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা । হামলায় ওই স্কুল ছাত্রের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে সে আগারগাঁও জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সস্টিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় আহত ফাহাদের পিতা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আহতের ফুফা মো. রিপন ভুইয়া জানান, তারা পুলিশের কাছে মামলা দায়েরের যে আবেদন করা হয়েছে পুলিশ সেই আবেদনে মামলা না নিয়ে তাদের মনগড়া মতো ঘটনার বিবরণ লিখে মামলা রুজু করে।
এ বিষয়ে সিরাজুল ইসলাম বলেন, তারা আমার ছেলের বাম চোখেও আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফলে চোখটি নষ্ট যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত শাহেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।