সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে ৫ থেকে ৬ টি মশার কয়েল গড়ে উঠেছে। রাতের আঁধারে প্রতিদিন ভুয়া চালান দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মশার কয়েল বিভিন্ন জেলায় কাভার্ডভ্যান দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এসব মশার কয়েল কারখানার বিরুদ্ধে সরকারের প্রতিমাসে কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিদ্ধিগঞ্জের কিছু অসাধু কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দিয়ে এ ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে মশার কয়েল ফ্যাক্টরির মালিকরা। সরকার প্রতিমাসে এইসব কারখানা থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এইসব মশার কয়েল কারখানার মালিকরা ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। শুধু তাই নয় রাতের আঁধারে সরকারের গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ দিয়ে ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছে। গ্যাস থেকেও সরকার প্রতিমাসে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এইসব মশার কয়েল ব্যবসায়ীদের সম্পদের হিসাব নিলেই ফিরে দুর্নীতির অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। সরকারকে নামমাত্র ভ্যাট ট্যাক্স দিচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাসিক ২ নং ওয়ার্ডে সোনালী মশার কয়েলের মালিক হারুন মিয়ার দুটি মশার কয়েল কারখানা রয়েছে। একলাছ নামের এক ব্যক্তির একটি মশার কারখানা রয়েছে। এমন আরো দুই তিনটি মশার কারখানা রয়েছে। এইসব মালিকরা গ্যাস চুরি ও ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাকি দিয়ে রাতারাতি শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে। তাদেরকে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করলে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকির অনেক কিছু উদঘাটন হবে জানায় এলাকাবাসী।
নাসিক ২ নং ওয়ার্ডবাসী জানায়, ২ নং ওয়ার্ডে চার থেকে পাঁচটি মশার কয়েল কারখানা গড়ে উঠেছে। মশার কয়েল কারখানার মালিকরা সরকারের গ্যাস চুরি ভ্যাট, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মাত্র কয়েক বছরে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে। গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবন। নামে বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এসব ফ্যাক্টরির বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে উক্ত মশার কয়েল ফ্যাক্টরির মালিকদের অর্থ সম্পদের হিসেব নিলে তাদের দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। তাই দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের হস্তক্ষেপ করছি।
উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা করা সম্ভব হয়নি।