সিদ্ধিরগঞ্জে এক জামে মসজিদে কমিটির সভায় ইমামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দ্ধারা হেনস্তার শিকার হয়েছেন এক পুলিশ সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬ আগষ্ট) রাত ১০ ঘটিকায় দক্ষিন কদমতলী-গোদনাইল নয়াপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভায়। ওই পুলিশ সদস্য এ এলাকার বাসিন্দা এবং উক্ত মসজিদের নিয়মিত মুসল্লী।
মসজিদের ইমাম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানীসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে মিমাংসা করতে কমিটির সভায় এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সম্প্রতি উক্ত মসজিদের ইমাম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের কারণে মুসল্লীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে কমিটির সেক্রেটারীসহ অনেকেই মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করে দিয়েছে। ইমামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে পূর্ব নির্ধারিত কমিটির সভায় পুলিশ সদস্য শরীফসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়।
সভায় ইমাম নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানীর বিষয়ে এক মুসল্লী বক্তব্য দিলে তাকে মারধর করার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী টাইপের লোকজন তেড়ে আসে। উপস্থিত অনেকে তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও তারা চওড়াও হয়। এতে করে উপস্থিত মুসল্লীদের মাঝে আতংক শুরু হয়।
তখন অনেকে ফোনে সন্ত্রাসীদের কার্যালাপের ভিডিও করে। এসময় পুলিশ সদস্য শরীফের মোবাইল সেটটি তারা কেড়ে নেয়। গোদনাইল পদ্মা ডিপোর কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ মিয়া ভিডিও করায় তার ফোনটিও কেড়ে নেয় ইমামের পক্ষের লোক নবাব।
শরীফ জানায়, এলাকার কিছু উগ্র চরিত্রের লোক ইমামকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে সমাজে উচ্ছৃখল আচরণ করছে। গত ১১ সেপ্টম্বর জুম্মার নামাজের বয়ানেও আমি মসজিদে উপস্থিত ছিলাম। ইমামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ থাকায় সেক্রেটারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমানসহ নিয়মিত নামাজ পড়া অনেক মুসল্লী এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসেন না।
তাদের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করতে ইমাম তার বয়ান বন্ধ করে উগ্র স্বভাবের লোকজনের হাতে মাইক দেয়। তখন প্রকাশ্যে ইমামের পক্ষ নেয়া নবাব, আবুল, বাতেন ও বাবু নামাজ পড়তে না আসা মুসল্লীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে এবং কুপিয়ে মারার হুমকি দেয়। এ ধরনের কার্যকলাপে সমাজে মুসল্লীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে অনাংঙ্খিত ঘটনা ঘটার আংশকা করছে এলাকাবাসী।
সম্প্রতি ইমাম নজরুল প্রতিবেশী গার্মেন্টসকর্মীর তিন বছর বয়সী এক শিশু কন্যার সাথে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়টি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ পেলে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটি সভা আহবান করলে একটি পক্ষ শিশুটির মা-বাবাকে নানা ভয় দেখায়। এতে ভয়ে শিশুকে নিয়ে তার বাবা-মা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।