নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হীরা নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বুধবার (১ মে) দুপুরের দিকে সে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এর আগে. সকালে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের পাগলা বাড়ি এলাকায় অভিযুক্তের বাসায় যায়। সেখানে অভিযুক্ত হীরার মা হাসিনা, খালা ও তার বোন তাকে মারধর করে বের করে দেয়।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকায় খালার বাসায় থেকে ভুক্তভোগী লেখাপড়া করত। গত ৮ মাস পূর্বে অভিযুক্ত হীরার সাথে তার পরিচয় হয়। হীরা মিজমিজি পাগলা বাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রুবেলের অধীনে কাজ করে। সে সুবাধে হীরা মহল্লার বিভিন্ন বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ ও মেরামতের জন্য অবাধে যাতায়াত করত। এর সূত্র ধরেই তার সাথে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের কিছুদিন পর মেয়েটিকে নিয়ে হীরা এক বাসায় যায়। সেখানে তাকে দুধ পান করায়। এরপর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরে আসার পর সে নিজেকে অসংগত অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করলে হীরা তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। এরপর সে নানা কৌশলে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে মেয়েটি জানতে পারে হীরা বিবাহিত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমলিন্য সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ওয়াবদা কলোনি এলাকায় ছাত্রীকে তার এক খালার বাসায় একা পেয়ে জোরপূর্বক ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে হীরা।
বিষয়টি টের পেয়ে তার খালা গালমন্দ করলে বুধবার সকালে সে বাসা থেকে বের হয়ে বিয়ের দাবিতে হীরার বাসায় যায়। সেখানে হীরা তাকে দেখে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরে হীরার মা হাসিনা, খালা ও তার বোন তাকে মারধর করে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রিপন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।