সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিস্ফোরক আইনে এ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০/৫৫ নেতাকর্মী লাঠিসোটা, হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে ও স্লোগান দেয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মিছিল থেকে ৩/৪টি গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ টুকরা লাল টেপে মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাঁচের অংশ।
মামলার আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল্লাহ, গণঅধিকার পরিষদের জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ ভুঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জুয়েল রানা, থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য পলাশ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রওশন আলী, সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল হক ময়ুর, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলজার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা আনিস, বিএনপি নেতা জাকির, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি জয়নাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাজা মিয়া, থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন, যুবদল নেতা মাসুম গাজী, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৩৫ জন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান লাইভ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আজকে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে। তবে, কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।