সিদ্ধিরগঞ্জে মিজমিজ রহমতনগর এলাকায় সিফাত নামে এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে নানা অপরাধে জড়াচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরগ্যাং, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত এই সিফাত।
কিন্তু তাকে কেউ কিছু বলে না। কারণ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা নাকি তার বন্ধু। এমন পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায়। এবং মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ি
এদিকে গত ২৪ জুলাই বাবুল নামে এক ব্যবসায়ী বখাটে সিফাত (৩০), ইমরান (৩০), হেলাল (৩০), সজল (২৬) এবং সৌরভ (২৬) নামে ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ জুলাই বিকেলে উভয়পক্ষকে থানায় ডাকে পুলিশ। সিফাত পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানো তার ব্যক্তিগত মোটর সাইকেলটি নিয়েই থানায় উপস্থিত হয়।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক সিফাতের মোটর সাইকেলটি আটক করে। এবং তার কাছে মোটর সাইকেলে পুলিশ লেখা স্টিকার লাগানোর কারণ জানতে চাইলে সিফাত জানায় কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা তার বন্ধু। তাদের পরামর্শেই সে এই স্টিকার ব্যবহার করছে।
এদিকে রহস্যজনক কারণে রাতেই পুলিশ মোটর সাইকেলটি আবারো সিফাতের জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাবুল জানান, আমি গাড়িটির চাবি নিলেও বিষয়টি নিয়ে ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক। আমি পরে ডিউটিতে চলে যাই। রাজ্জাক কিভাবে গাড়িটি ছেড়ে দেয় তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাজ্জাক প্রথমে জানান, গাড়িটির কাগজপত্র ঠিক থাকার কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষের মটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগানোর বৈধতা রয়েছে কিনা এবং মোটরসাইকেলের বাহকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধ কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে সে কিভাবে পুলিশের স্টিকার গাড়িতে লাগায় এটা কি কোনো অপরাধ কর্মকান্ডের মধ্যে পড়ে কিনা জানতে চাইলে এএসআই রাজ্জাক বলেন এটা সিনিয়র স্যাররা জানেন এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
সিনিয়র স্যার বলে কাকে বোঝাতে চেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি কথা বলে জানাবেন বলে ফোনটি রেখে দেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও লাইনটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।