সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারিদের কারণে ঠিকমত গ্যাস পাচ্ছেনা বৈধ গ্রাহকরা। তিতাস কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক অভিযোগ করার পরও দুর্ভোগ লাগব হচ্ছেনা। এর প্রতিবাদ ও গ্যাসের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকাল ১০ টায় মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন নাসিক ২নং ওয়ার্ড এলাকার কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানবন্ধনে উপস্থিত আবাসিক গ্রাহকদের অভিযোগ, নাসিক ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া, মধ্যপাড়া, কান্দাপাড়া, হাজেরা মার্কেট, ধণুহাজী রোড, রহিম মাকের্ট, সাহেবপাড়া এলাকার বৈধ গ্রাহকরা দীর্ঘ দিন ধরে গ্যাস সংকটে ভোগছেন। গ্যাস না থাকায় রান্না-বান্না করতে পারছেননা বৈধ গ্রাহকরা।
অথচ এসব এলাকায় মশার কয়েল তৈরির কারখানাসহ কমপক্ষে বিভিন্ন রকম অর্ধশতাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে। অবৈধ এসব কারখানায় দেওয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। কারখানা ছাড়াও বিভিন্ন বহুতল ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
মেশিনের সাহায্যে কয়েল কারখানায় গ্যাস টানার ফলে আবাসিক গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছেনা। আথচ মাসে মাসে নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে বৈধ গ্রহকদের। অবৈধরা তিতাস কর্মকর্তা ও স্থানীয় দালালদের উৎকোচ দিয়ে নিশ্চিন্তে গ্যাস ব্যবহার করছে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসব অবৈধ কারখানায় তিতাস কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও অর্থ দন্ড করেন। তবে অভিযান শেষ করে চলে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পর আবার কারখানা মালিকরা গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে দেয়। শুধু মিজমিজি এলাকাই নয় সমস্ত সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাতে একই চিত্র।
গ্যাস সমস্যার কথা তিতাস কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরও কোন প্রতিকার হচ্ছেনা। তাই বাধ্য হয়ে এ কর্মসূচি পালন করছি। তাতেও সমাধান না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শ শহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু নারি-পুরুষ গ্যাসের দাবিতে মহাসড়কে উঠেছিল। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দিয়েছি।