নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দেশের প্রায় ৩৯টি রাজনৈতিক দল ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সঠিক গণতান্ত্রিক অবস্থা ফেরাতে এক দফার উপর গণঅভ্যূত্থানের ডাক দিয়েছে। এ দাবি মেনে নিলে কোন সংঘাতের প্রয়োজন নেই।
কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত না করে আবারও পাতানো ও একদলীয় নির্বাচনের পায়তারা করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে যে হতে পারে না তা ২০১৪ ও ’১৮ সালে প্রমাণিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ৩১ দফা’ শীর্ষক আলোচনায় বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জে অত্যন্ত দক্ষ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ২০১৪ সালে আমি যে সাত খুন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলাম সে সময় গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিল। সাত খুন হত্যাকাণ্ডের যে রায় দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে কার্যকরের দাবি জানাই।
গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, জেএসডির জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অমল আকাশ, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা কমিটির নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস প্রমুখ।