রানে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। তার অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে তিন উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।
হারারের স্পোর্টস ক্লাবে মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ২৪১ রানের টার্গেট দেয় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে কক্ষপথে নিয়ে যান সাকিব। অষ্টম উইকেটে সাইফুদ্দিনের সঙ্গে ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে পাঁচ বল বাকি থাকতে জয় পায় বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ ১৫৫ রানে জিতেছিল টাইগাররা।
এই বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে শেষ ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন সাকিব। এরপর টানা চার ইনিংস ব্যর্থ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১৯ রান করে আউট হয়েছিলেন।
কিন্তু বল হাতে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার বল হাতে দারুণ কিছু করলেও ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না। সেই সাকিব জ্বলে উঠলেন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। ১৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে টানলেন ব্যাট হাতে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হাতে এক উইকেট রেখে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২৪০ রান। ১৫৫ রানের জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করা বাংলাদেশের সামনে এই লক্ষ্য খুব কঠিন কিছু নয়। তার ওপর জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। সেই সঙ্গে সুপার লীগের আরও ১০ পয়েন্টও। কিন্তু সেখানে বাংলাদেশ ১৪৫ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আউট হওয়ার মিছিল শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ম্যাচে তিনি ০-তে ফিরে গিয়েছিলেন। গতকাল ২০ রান করে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু বোলিংয়ে এসে দশম ওভারে তামিমকে থামান লুক জঙ্গুয়ে। পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে টাইগার অধিনায়কের ক্যাচ মুঠোয় জমান দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সিকান্দার রাজা। ৯.৩ ওভার লড়াই করার পর মাত্র ৩৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। যদিও এই ধাক্কা ভকড়ানোর মতো ছিল না। কারণ আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ার লিটন আছেন ক্রিজে। তবে গতকাল শুরুতেই আউট হতে হতে একবার জীবন পেয়েছিলেন। রান আউটের হাত থেকে বেঁচে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকলেন না লিটন দাস। রিচার্ড এনগারাভাকে পুল করে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন এই ওপেনার। চারটি চারে ৩৩ বলে ২১ রান করেন লিটন।
এখান থেকে ইনিংসে মড়কের শুরু সাকিব আল হাসানের সঙ্গী হতে এসে কেউ দাঁড়াতেই পারছিলেন না। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হন বাজে এক শটে ২ রান করে। বাজেভাবে রান আউট হয়ে দলকে বড় বিপদে ফেলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি ফিরেছেন মাত্র ৫ রান করে। তবে সাকিব একাই লড়াই করতে থাকেন। সঙ্গীহন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দু’জনের ব্যাটে আসে দলের প্রথম ৫০ রানের জুটি। কিন্তু ৩৫ বলে ২৬ রান করে রিয়াদ ফিরে গেলে ফের বড় বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজও ৬ রান করে বিদায় নেন। প্রয়োজন ছড়াই ঝুঁকি নিয়ে উড়িয়ে মারেন মিরাজ। এর মাশুল দিলেন নিজের উইকেট বিলিয়ে। ৩২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৪৫। ক্রিজে সাকিবের সঙ্গী আফিফ হোসেন। জয়ের জন্য শেষ ১৮ ওভারে সফরকারীদের চাই ৯৬ রান। এরপর সাকিবকে সঙ্গ দিতে আসা তরুণ আফিফ হোসেন আরও এক হতাশার নাম ২৩ বলে ১৫ রান করার পথে বাজে এক শট খেলতে গিয়ে আউট হন।