নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, মাদকের সবচেয়ে অদ্ভুত পাওয়ার হচ্ছে, মাদক নেয়ার কিছুক্ষন পর আপনাকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়। আপনি (যে খাচ্ছে) খাবার পর আপনি আর আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। আপনি তখন আপনার শিক্ষকের নিয়ন্ত্রণে থাকেন না, বাবা-মা’র নিয়ন্ত্রণে থাকেন না। আপনি নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকেন না তখন আপনার ভিতরে একটা কাজ করে আরো মাদক চাই।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জ কলেজে এক মাদকবিরোধী সচেতনমূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই মাদক পাওয়ার জন্য আমাকে কি কি কাজ করতে হয়। তখন সে কি করবে তার কোনো ঠিক থাকে না কখন স্কুলে যাবে তার কখন বাসা থেকে বের হবে তার কোনো ঠিক থাকে না। মাদকের জন্য বাব-মার পকেট থেকে শুরু করে বন্ধুদের থেকে টাকা নিয়ে মাদক নিতে তখন সে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে যায়। যখনি নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে যায় তখনি ধরে নিতে হবে তার ধ্বংস অনিবার্য। তার পরিবারে, বন্ধুদের ধ্বংস অনিবার্য কারণ ওর বন্ধুদের দিয়েও (মাদক সেবনকারী) চলে।
তিনি আরো বলেন, মাদক সেবনকারী প্রথমে সে নিজে খায় তারপর তার বন্ধুদের খাওয়ায় এর পর সে যখন টাকা না পায় তখন সে মাদকের ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে সমাজে সবচেয়ে বড় থ্রেট হচ্ছে মাদক।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জীবনে অনেক কিছু আছে। ওয়ান টাইম গ্লাস আছে। ওয়ান টাইম প্লেট আছে। এই রকম অনেক কিছু আছে। মাদক এমন একটা বিষয় এটার ওয়ান টাইম হয় না। মাদক একবার নিলে এটা দ্বিতীয়বার নিতে হবে। আপনাকে বাধ্য করা হয় মাদক নেওয়ার জন্য তাই ভুল করেও মাদক ট্রেস্ট করা যাবে না। এটা খেয়ে দেখি কেমন অনুভুতি সৃষ্টি হয়। এটা ওয়ান টাইম না, আর যে মাদক গ্রহণ করে তখন তাকে সবাই চিনে রাখে। মাদকের ব্যবসা করে তাকেও সবাই চিনে রাখে। সমাজে এর চেয়ে ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ব্যক্তি আর হতে পারে না। কারণ সে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না পুরো সমাজ কে ধ্বংস করে দেয় একটা প্রতিভাকে ধ্বংস করে দেয় একটা জীবনকে ধ্বংস করে দেয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. ফজলুল হক রুমন রেজা
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মামুন, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।