আজ রবিবার বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম (শীতকালীন) অধিবেশন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিকেল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশনের প্রথম দিন ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সংসদের ১৬তম অধিবেশন হবে নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন। রেওয়াজ অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। যেখানে সরকারের সফলতা ও আগামী কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ। তা নিয়ে আলোচনা করেন সংসদ সদস্যরা। আলোচনা শেষে সংসদ সদস্যদের ভোটে ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। প্রথম দিন শোক প্রস্তাব উত্থাপন, সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জাতীয় সংসদ। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। অধিবেশনকক্ষে প্রবেশের জন্য সকলকে করোনা নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। অধিবেশনকক্ষে নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে বসবেন সংসদ সদস্যরা। অধিবেশনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এরই মধ্যে সংসদ অধিবেশন চলাকালে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা ছাড়াও বিল পাস, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তরসহ অন্য কার্যক্রম চলবে। অধিবেশনে উপস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে চারটি বিল জমা হয়েছে। বিলগুলো হচ্ছে—বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২, পেমেন্ট এ-সেটলমেন্ট সিস্টেম বিল-২০২২, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২ এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল-২০২২। আর পাসের অপেক্ষায় রয়েছে সাতটি বিল।
গত বছর ২৮ নভেম্বর সংসদের ১৫তম অধিবেশন শেষ হয়। করোনাকালে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত ওই অধিবেশন ১৪ নভেম্বর শুরু হয়। অধিবেশনে ২৪ ও ২৫ নভেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে ৯টি অধিবেশন তুলনামূলক সংক্ষিপ্ত হয়েছে। শীতকালীন অধিবেশন মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। সংসদ অধিবেশন নির্বিঘ্ন করতে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।