রুদ্রবার্তা২৪.নেট: ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের সকল বকেয়া পাওনাসহ ঈদ বোনাস পরিশোধ ও ঈদের আগে এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন প্রদান এবং অবিলম্বে নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিটিইউসি)। রবিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় ফতুল্লা বিসিক এলাকায় এ সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ফতুল্লা অঞ্চলের নেতা আশিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা দুলাল সাহা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সভাপতি এমএ শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম বাবুল, প্যারাডাইজ কেবল শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. সেলিম ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস, বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও ঈদের আগে এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন প্রদান করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে শ্রমিকরা খুবই অভাব-অনটনে দিনাতিপাত করছে। সময় মতো তারা টাকা না পেলে বাড়ি ভাড়া ও মুদিদোকানির টাকা দিতে পারবে না। ঈদের মধ্যে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বে। তাদের বেতন-বোনাস প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার ও গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ, বিজিএমইএ’কে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে। কতিপয় গার্মেন্টস মালিক ঈদ মূহুর্তে গিয়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিয়ে চরম বিপদে ফেলে দেয়। অন্যদিকে শিল্পে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এবারও ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে ষড়যন্ত্রের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই দুঃসময়ে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে কোন প্রকার ছলচাতুরি করা হলে তা বরদাস্ত করা হবে না। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে দাবি আদায় করা হবে।
তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী বাজার ও বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে জনজীবনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকরা চরম সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দিন-রাত পরিশ্রম করে যে মজুরি পায় তা দিয়ে শ্রমিকদের পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পড়ে জীবন ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকের নি¤œতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে শ্রমিক মেহনতি নি¤œ আয়ের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকদের বেঁচে থাকার জন্য মহার্ঘ্য ভাতা দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ গার্মেন্ট শ্রমিকসহ অপরাপর সকল শ্রমিকদের ২০ রমজান মধ্যে এক মাসের বেতনের সমপরিমাণ ঈদ বোনাস ও সকল বকেয়া পাওনাসহ ঈদের আগে এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন প্রদানের দাবি জানান।