রুদ্রবার্তা২৪.নেট: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময় নারায়ণগঞ্জে বিজয় সমাবেশ করছি তার কয়েক দিন পরই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আমরা যখনই কোনো নির্বাচনে যাই তখন আওয়ামী লীগের প্রতিদ্ব›দ্বী হয়ে দাঁড়ায় কারা? সেই ১৯৭১ সালে যারা ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা আজকে আমাদের সামনে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে। ৭৫ আগস্ট জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছে সেই হত্যাকারীর দল বিএনপি আমাদের সামনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে। ২০০৪ সালে আমার নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা জন্য ১৪টি গ্রেনেড যারা নিক্ষেপ করেছে তারাই আমাদের সঙ্গে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে। তারই আমাদের সামনে প্রার্থী হয়ে দাঁড়ায়।’
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর শেখ রাসেল নগর পার্কে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধুর আত্মার প্রতি, আমি শ্রদ্ধা জানাই ১৯৯৫ এর ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহম্মেদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি নারায়ণগঞ্জ মানুষের প্রিয় নেতা একে এম সামসুজ্জোহা, আরও শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধুর আরেক ঘনিষ্ট সহচর সেলিনা হায়াত আইভীর পিতা আলী আহাম্মেদ চুনকার প্রতি।
মির্জা আজম বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে বলতে চাই, আপনারা আগামী ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন? বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নাকি ৭১, ৭৫, ২০০৪ সালের ঘাতকদের ভোট দিবেন? আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগের প্রার্থী, শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে রায় দিবেন।’
প্রায় অর্ধলক্ষ নেতা-কর্মীর উপস্থিতির এই সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক নাসিক মেয়র ও ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমদ হোসেন, এবিএম মোজাম্মেল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, সংরক্ষিত আসনে সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, আরজু রহমান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান বাচ্চু, মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, যুগ্ম সম্পাদক আহসান হাবীব, সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল প্রমুখ।