নগরীর নিতাইগঞ্জ, আল আমিন নগর ও সৈয়দপুর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে গড়ে উঠা একটি তিনতলা ভবনসহ ৭টি কাঁচা-পাকা ২৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
অভিযানে সৈয়দপুরে পুবালী সল্ট কারখানার মালিক পরিতোষ সাহার নদী দখল করে গড়ে তোলা জেটিসহ অবৈধ স্থাপনা, নিতাইগঞ্জে আব্দুল কাদিরের মালিকানাধীন পাকা গোডাউনের বর্ধিতাংশ, লিয়াকত হোসেন ও বাবুর মালিকানাধীন তিনতলা ভবনের বর্ধিতাংশ, বাচ্চু ও সিদ্দিকের মালিকানাধীন বন্দর এন্টারপ্রাইজের দুটি সেমিপাকা গোডাউনসহ ২৬টি স্থাপনা উচ্ছদে করা হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে নদী তীরের আড়াই একর ভূমি দখলমুক্ত করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শোভন রাংসার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে চলাকালে উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক ইসমাইল হোসেন, সীমানা পিলার এবং ওয়াকওয়ে প্রকল্প পরিচালক শাহনেওয়াজ কবির, মেডিকেল অফিসার জাকিরুল হাসান ফারুক প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে সিএস জরিপ অনুযায়ী নতুন সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ চলছে। পাশাপাশি শীতলক্ষ্যার উভয় তীরেই ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও শুরু হবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নতুন সীমানা পিলার স্থাপন নিয়ে জটিলতা ছিল।
সেগুলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিরসন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নদী তীরের ভূমি উদ্ধার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজও যাতে দ্রুত শুরু করা যায় সে লক্ষ্যে নদীর দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, নদী দখলমুক্ত রাখতে এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।