রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জসহ সাত চলছে কঠোর লকডাউন। করোনা থেকে সুরতি রাখতে এ লকডাউন ঘোষণা করা হলেও সরকারী কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায়।
লকডাউনের ৪র্থ দিন শিমরাইল মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের চারপাশকে ঘিরেই হাইওয়ে পুলিশের সামনে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস গুলোতে দূরপাল্লার যাত্রী বহন করছে চালকরা।
স্টপিজ প্রতি ৬শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকাও ভাড়া আদায় করছে কাউন্টার শ্রমিক, চাঁদাবাজ ও চালকরা। প্রতি গাড়িতে গাদাগাদি করে তোলা হ্েচ্ছ যাত্রী। এতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকিও বাড়ছে।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই এভাবে লকডাউনের নির্দেশনা উপেক্ষিত হওয়ার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম।
অভিযোগ উঠেছে, কাউন্টার শ্রমিক ও চাঁদাবাজদের সাথে হাইওয়ে পুলিশের যোগসাজশেই যাত্রী বহন করছে চালকরা। এতে করে লাভবান হচ্ছে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও চাঁদাবাজরা, আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা।
সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, লোকাল বাস ও পিকাপ ভ্যান, হোন্ডাসহ বিভিন্ন পরিবহনে বিভিন্ন জেলার যাত্রী বহন করছে। যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে কয়েক গুনেরও বেশি ভাড়া।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল মোড়ে অবস্থিত শিমরাইল ট্রফিক বক্সের পুলিশের সামনেই চাঁদাবাজরা বিভিন্ন গাড়ীতে দূরপাল্লার যাত্রী উঠাচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ দু’একটি গাড়ীর কাগজ নিলেও পরে তা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করে গাড়ীর চালকরা।
একটি সূত্র জানায়, যাত্রীবহনের ক্ষেত্রে হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ি প্রতি অর্থ প্রদান করে কাউন্টারের শ্রমিক ও চাঁদাবাজরা। এ কারণেই নিরাপদে দুরপাল্লার যাত্রীদের বহন করতে পারছে বিভিন্ন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, নাফ পরিবহন ও পিকাপ ভ্যান। এক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সঠিক নয়। কারন প্রতিটি স্টপিজেই সীমিত সংখক জনবল নিয়ে কাজ করতে হয়। আমার চেষ্টা করছি এসব পরিবহনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। তাছাড়া এদের রুখতে থানা পুলিশেরও সহায়তা চেয়েছি।
এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আজও আমরা ৮৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। ২লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরআগের দুইদিনও ১২৭টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। তাছাড়া মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাহলেই এসব অনিয়ম রোধ সম্ভব ।
এদিকে এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান পিপিএম বার বলেন, কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান আমার কাছে কোন ধরনের সহযোগিতা চান নি। আমি আমার থানা পুলিশের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে লকডাউনের নিদের্শনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।