জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার সতর্ক করেছেন যে, অসম শিক্ষা বিশ্বকে বিভক্ত করছে। তিনি বৈশ্বিক সংকটের উপর আগামী এক সপ্তাহের কূটনৈতিক এজেন্ডার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখার ওপর আলোকপাত করেন।
জাতিসংঘ প্রধান সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সভায় বিশ্ব নেতাদের মিলিত হওয়ার একদিন আগে শিক্ষার উপর একটি বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদানের কারণে নিউইয়র্কে তাদের আগমন বিলম্বিত হয়।
শিক্ষা একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে গুতেরেস শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, বড় সম্ভাবনার দাঁড় উন্মোচনের পরিবর্তে, শিক্ষা দ্রুত বড় বিভাজন তৈরী করছে।
তিনি সতর্ক করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারী শিক্ষার উপর একটি ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলেছে, দরিদ্র ছাত্রদের প্রযুক্তির অভাব থাকা একটি বিশেষ অসুবিধা ও যুদ্ধসমূহ স্কুলগুলিকে আরও ব্যাহত করছে। এই মাসের শুরুতে একটি প্রতিবেদনে, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি বলেছে যে কোভিড মানবতার অগ্রগতি পাঁচ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মধ্যেও গুতেরেস সমস্ত দেশের প্রতি শিক্ষার্থী প্রতি ব্যয় বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদন জানান। গুতেরেস আফগানিস্তানের তালেবানদের প্রতি মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের প্রবেশাধিকারের উপর সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীটি ২০২১ সালের আগস্টে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ১০ লাখেরও বেশি কিশোরীকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে।
গুতেরেস বলেন, আমি আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করছি যে, অবিলম্বে মাধ্যমিক শিক্ষায় মেয়েদের প্রবেশাধিকারের উপর সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নিন।
আফগানিস্তানের গার্লস রোবোটিক্স টিমের সদস্যা সোমায়া ফারুকী সম্মেলনে তার বক্তব্যে বলেন, তালেবানরা ধীরে ধীরে সমাজে আমাদের অস্তিত্ব মুছে ফেলছে।
তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার মেয়ে হয়তো আর কখনো স্কুলে ফিরতে পারবে না। অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। স্কুল আবার খোলার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ করা হয়নি।’ বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা পিছনে পড়ে আছে, যারা স্কুলে পড়ার মতো ভাগ্যবান নয়, তাদের ভুলে যাবেন না।’ তিনি বলেন ‘আমার সাথে এবং লাখ লাখ আফগান মেয়ের সাথে আপনারা একাত্ম হোন।’