রুদ্রবার্তা২৪.নেট: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চাহিদা ছিলো নারায়ণগঞ্জ কলেজে একটা ক্যান্টিন দরকার। কিন্তু সেটি করা হয়নি। আমি ছাত্রছাত্রীদের বলতে চাই আগামী ডিসেম্বর মানে ২০২১ সালের মধ্যে ক্যান্টিন হবে। গভর্নিং বডিকে বলবো এটা যাতে ২০২২ না হয়। আগামী স্বাধীনতার ৫০বছরপূর্তী অনুষ্ঠান হবে শামসুজ্জোহা কমপ্লেকে, সেখানে ২ থেকে ৩ ব্যাপি আমরা এই আনন্দ উদযাপন করবো। এই কলেজকে এবং নারায়ণগঞ্জকে অনেক কিছু দিয়েছে আমাদের সন্তানরা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ কলেজ প্রঙ্গনে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় গভর্নিং বডির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা চেষ্টা করবেন ছাত্র ছাত্রীদের সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিতে। আমার মেয়ে এই কলেজে পড়েছে, তখন দাড়িয়ে দাড়িয়েও ক্লাস করতে হয়েছে। আমার মেয়ে বলেছে আব্বু আমরা যে কষ্ট করেছি অন্যরা যাতে এই কষ্ট না করে। সরকারি কলেজে যদি ৫০ টাকায় সব হয় তাহলে প্রাইভেট এ লাগে ১০০ টাকা। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা চেষ্টা করবেন ৭৫ টাকা রাখার জন্য। আজকে আমার এই প্রিন্সিপালকে ধরে রাখতে পেরেছি, এবং আমাদের কাজ গুলো আদায় করে নেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, একটা সময় আমার আমার পরিবারের অবস্থা ভালো ছিলো না। ঢাকা কলেজ থেকে পাশ করার পর আর পড়াশোনা করতে পারি নাই। তখন উপার্জন করতে হয়েছিলো, কারণ আমার বাবাকে জেলে নিয়ে গেছিলো, আমার ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য বেড়িয়ে পড়ছিলো। তখন আমি ব্যবসা করেছি। আমি জীবনে কারো কাছে কখনো হাত পাতি নাই, আমি মুরগী বিক্রি করেছি, মাছ বিক্রি করেছি আমি গাড়ীর ড্রাইভারি করেছি।
সেলিম ওসমান বলেন, আজকে অনেকে বলে আমি নাকি ব্যবসায়ীদের শান্তিতে থাকতে দেই না। ব্যবসায়ীদের টাকা দিয়ে এসব করি। আমি বলবো আমি উপার্জন করেছি। আমি কত ডলারের রপ্তানি করেছি তার থেকে যদি ৫ভাগ প্রফিট দেয়া হয়। তার থেকে কিন্তু আমি কিছুই খরচ করিনি। যদিও করোনায় ব্যবসায়ীরা সংকটে আছে। সব কিছুর বাইরে গিয়ে এই উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের পেছনে যাদের সব থেকে বেশী ভুমিকা ছিলো তারা হলেন এই কলেজের শিক্ষার্থীরা ও এই কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
তিনি আরও বলেন, আমি কোন দল করি না, নামে দল করি। আমি চাই এই শিক্ষার্থীরা আমাদের এই নারায়ণগঞ্জকে আগের মতো প্রচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জে ফিরিয়ে আনুক। আমাদের অতিত ভালো ছিলো, পাট ছিলো। কিন্ত যদিও সেটা নীট ওয়্যার দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এই নারায়ণগঞ্জকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের প্রত্যাকে কিছু না কিছু করতে হবে। অন্তত একটা লেবু গাছ লাগাতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের বাচিঁয়ে রাখলে আমরা আরও কিছু করবো।
নারায়ণগঞ্জ কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস এম মাহফুজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুল হক রোমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. সাফিন হাসান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩,১৪,১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি প্রমুখ।