নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বন্ধুরা পদযাত্রা সমাবেশ ডেকেছেন। ওদের সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। আপনারা এই পদযাত্রা বাদ দিয়ে নির্বাচনের প্রস্ততি শুরু করেন। আমরা আমাদের শান্তি সমাবেশে কোন কেন্দ্রীয় নেতাদের আমন্ত্রন দেই নাই। কারণ কেন্দ্রীয় নেতারা আসলে পদযাত্রা সফল হবে, শান্তি সমাবেশ সফল হবে; এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর ২নং গেট এলাকায় অবস্থিত দলিও কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খোকন সাহা বলেন, বিএনপি পদযাত্রার নামে যাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আমরা মাঠে আছি বন্ধুরা। ডিসেম্বরের ১০ তারিখের পর নাকি খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার কথায় দেশ চলবে। আরে এটা কি মগের মুল্লক। তারেক জিয়া একটা বিশ্ব চোর, খুনি, সাজা প্রাপ্ত আসামী। আর খালেদা জিয়াকে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। আমাদের নেত্রীর দয়ায় সে বাসায় বসে সাজা ভোগ করছে। নারায়ণগঞ্জে কোন রকম নৈরাজ্য আমরা বরদাস্ত করবো না। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। এই নারায়ণগঞ্জ শামীম ওসমানের ঘাটি। আমরা তো অল্প বললাম। শামীম ওসমান মাঠে নামলে টিকতে পারবেন না দশ মিনিট।
তিনি আরও বলেন, ১০১৪ সালের মতো অরাজকতা সৃষ্টি করবেন না। ক্ষমতায় আসার একটাই রাস্তা, সেটা হলো নির্বাচন। বিদেশিদের কাছে ধর্না দিবেন, তারা কিন্তু আপনাদের ভোট দিতে পারবে না। ভোট দিবে বাংলার জনগন। গণতন্ত্রের পথে এসে রাজনীতি করেন। কারণ মানুষ উন্নয়ন চায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পা দিয়েছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা বেচেঁ থাকলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবেই।
সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. হান্নান আহমেদ দুলালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ হায়দার আলী পুতুল, রোকনউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, এড. মাহমুদা আক্তার মালা, জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, কার্যকারী সদস্য ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, মো. সুমনসহ অনেকে।