নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ ১৯২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এড. রুহুল কবির রিজভীর অভিযোগ ২০৩ ধারায় খারিজ করেছে আদালত।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষে শাওন নামের একব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে আবেদনটি খারিজ করেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, বিকালে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভীর মামলার আবেদন ২০৩ ধারায় খারিজ করে দিয়েছে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক।
তাঁর ভাষ্য, ‘আদালত যদি মনে করেন, মামলাটি গ্রহণের পর অগ্রসর হওয়ার কোন কারণ নেই, তাহলে আদালত ২০৩ ধারায় মামলাটি খারিজ করে দিতে পারে।’
এর আগে সকালে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ থানার ওসিসহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে গুলি ও হত্যার অভিযোগ এনে মামলার আবেদনটি করে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী।
সেখানে অভিযুক্ত করা হয়েছিল-জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনক, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) নাজমুল হাসান, সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আমীর খসরু, পুলিশ সদস্য শাহরুল আলম, সোহাগ, আরিফ দেওয়ান, ফেরদৌস দেওয়ান, সেলিম, রিপন, যুগল, মামুন, রিয়াজ, হাফিজ, সহকারী উপ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, পুলিশ সদস্য জাকির হোসেন, নাঈম, রাকিব, আনিস, সাইদুল, এএসআই সোহরাব, পুলিশ সদস্য ইনজামামুল, রাসেল, খলিলুর রহমান, মোহসিন, মোস্তাকিম, শাহাদাৎ, ফখরুল, আরিফ দেওয়ান, দীপক সাহা, শাহীন, ফরিদ উদ্দিন, মুরাদুজ্জামান, শাহীন, কবির হোসেন, মান্নান, রুবেল, সোহাগসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০জন।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সড়কে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শাওন নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিহত শাওনের বড় ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।