শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের সখিপুরে তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের (৫৬) বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে (৩৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৪ জুলাই) বিকালে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলাম সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের মাগন ব্যাপারীর কান্দি গ্রামের আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে। তিনি ৪৪নং তারাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আর ওই শিক্ষিকা সখিপুর থানার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
শিক্ষিকার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ২২ জুলাই বিকেলে প্রধান শিক্ষক আযহারুলের স্ত্রী ও সন্তান তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় রাতে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে মোবাইল করে তার বাড়িতে আসতে বলেন।
আযহারুলের কথামতো রাত ১০টার দিকে ওই শিক্ষিকা সেখানে আসেন। তখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একটি কক্ষে ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেন আযহারুল। পরে বিয়ের কথা বললে আযহারুল ওই শিক্ষিকাকে চুপচাপ বাড়ি চলে যেতে বলেন। তবে ওই শিক্ষিকা বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি থেকে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে শিক্ষিকাকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে শিক্ষিকাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ওই প্রধান শিক্ষক ও তার আত্মীয়রা।
শিক্ষিকার অভিযোগ, আযহারুল বিয়ের কথা বলে দীর্ঘদিন তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করছে। ঘর উঠানোর জন্য তার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকাও নিয়েছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে শনিবার দুপুরে প্রধান শিক্ষক আযহারুল ইসলামের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানয়েছে তার পরিবার। পরে তার মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ওই ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হবে।’
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আযহারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন এক সহকারী শিক্ষিকা। ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আযহারুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’