সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকুরির লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জে ২ প্রতারণামূলক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১১)। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব ১১ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা এ তথ্য জানান। এর আগে ১২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের সাহেবপাড়া এলাকায় প্রতারণা মূলক প্রতিষ্ঠান এন.আর.এস ফোর্স সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ এর অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রদানের নামে সহজ সরল সাধারণ মানুষের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম (৩১) এবং এমডি মো. সাইফুল ইসলাম (২৮) কে প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় আসামিদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৭০টি ভিজিটিং কার্ড, ২০টি চাকুরী প্রত্যাশীদের ভর্তি ফরম, ১টি সীল, অফিস শর্তাবলীর ২০টি অঙ্গীকারনামা, ৩ জোড়া সিকিউরিটি ইউনিফর্ম ও ২টি আয়-ব্যায়ের রেজিষ্টার জব্দ করা হয় এবং চাকুরী প্রত্যাশী ৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডি এর নিকট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একই দিনে র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন চাষাঢ়া তোলারাম কলেজ রোড এলাকায় অপর একটি প্রতারণা মূলক প্রতিষ্ঠান এম. আর.এম ফোর্সেস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ এর অফিসে অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় এন.আর.এস ফোর্স সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ এর অনুরুপ প্রতারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা অবস্থায় এম.আর.এম ফোর্সেস সিকিউরিটি সার্ভিস লিঃ নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. রায়হান (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। উক্ত প্রতিষ্ঠানটিও অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রদানের নামে প্রতারণা করে আসছিল।
এ সময় আসামির নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ১টি সীল, ২০টি চাকুরী প্রত্যাশীদের স্বহস্তে পুরনকৃত ভর্তি ফরম, ২টি এটিএম কার্ড, ৪টি টাকা রশিদ ও ৩টি আয়-ব্যায়ের রেজিষ্টার জব্দ করা হয়। গত ৬ মাসে এ প্রতিষ্ঠানটি ১২ শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদিকে ভুক্তভোগী রিয়াজুল, স্মৃতি আক্তার, রাব্বি, রাবেয়াসহ একাধিক ভুক্তভোগী জানায়, তারা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দেখে চাকুরির জন্য গেলে প্রথমে তাদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন ফি বাবদ ১ হাজার ৫০ টাকা রাখে পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে ধাপে সাড়ে ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিলেও তাদের চাকুরি দেয়নি।