ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠছে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। প্রায়ই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি বিদেশ ফেরত যাত্রীদের সর্বস্বান্ত করছে ডাকাতরা। এতে আতংক বিরাজ করছে মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে। এবার র্যাবের টহল গাড়িতে ডাকাতির চেষ্টার সময় দেশীয় অস্ত্রসহ দূর্ধর্ষ ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. সুজন (২০), মো. রাসেল (২৭), মো. আলাউদ্দিন (১৯), মো. বাদশা হোসেন দিপু (২৩), মো. সাব্বির (১৯), মো. হাবিবুর রহমান (১৯), মো. মিন্টু (২৩), মো. সিয়াম (১৯)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১ টি রামদা, ৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি স্টীলের তৈরি চাপাতি, ১ টি বড় ছোরা, ১ টি হাতুড়ি এবং ১ টি শাবল।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের কালিরবাজার এলাকায় র্যাব-১১ স্থানীয় ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কোম্পানি কমান্ডার ও উপ-পরিচালক মুনিরুল আলম।
তিনি জানান, ডাকাত চক্র নির্মূল করতে বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের দুইটি দল সাদা পোশাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টহল ডিউটি পালন করছিল। একটি দল মুন্সীগঞ্জে গজারিয়া থানার চর বাউসিয়া এলাকায় যানজটে আটকা পড়ে। এসময় সাধারণ যাত্রীবাহি গাড়ি ভেবে ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল সশস্ত্র ডাকাত র্যাবের গাড়িটি ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে ডাকাত দল গাড়ির উপর চড়াও হয়ে হানা দিলে সাদা পোশাকে থাকা র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়।
একপর্যায়ে ডাকাত দলের আটজনকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেন তারা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা গত দুই বছরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অর্ধ শতাধিক ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।