
উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় ফুটপাত ও মহাসড়ক দখল মুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন ও আনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে ভুলতা গোলচত্বর থেকে গোলাকান্দাইল ও সাওঘাট সিএনজি ইস্টান গোলচত্বর পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ- আল – সোহান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারিকুল আলম।
অভিযানে গাউছিয়া মার্কেট সংলগ্ন প্রধান সড়কের দুই পাশে শতাধিক অবৈধ অস্থায়ী দোকান, ভাসমান স্টল এবং নির্মাণসামগ্রী উচ্ছেদ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এসব দোকান ফুটপাত ও সড়কের একটি বড় অংশ দখল করে রাখায় পথচারী এবং যানবাহনের চলাচলে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। এর আগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবার সড়কে দোকানপাট বসে সড়ক দখল করতে দেখা গেছে।
পুনরায় আজকের অভিযান পরিচালনার পরও কতক্ষণ ফুটপাত দখলমুক্ত থাকবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফরিদ আল সোহান, রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোকতার হোসেন, ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোখলেসুর রহমান, ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোফাকখেরসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুল ইসলাম বলেন, “সড়ক ও ফুটপাত সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য। কেউ যদি এটি দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা পরিচালনা করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ইতোমধ্যেই পাঁচবার অভিযান পরিচালনা করেছি। ভবিষ্যতেও নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে কেউ দোকান বা সড়ক দখল করতে চাইলে জেল, জরিমানা ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় পথচারী ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, নিয়মিত এই ধরনের অভিযান হলে ফুটপাত ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং জনদূর্ভোগ অনেকাংশে কমবে।
তবে এলাকাবাসীর আশঙ্কা, আগের মতোই কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দখলদাররা পুনরায় ফুটপাতে দোকান বসাবে কিনা তা এখন দেখার বিষয়। সড়ক ও ফুটপাত কতদিন দখলমুক্ত থাকবে, তা নিয়মিত নজরদারির অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।