রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালিয়ে ১০/১২টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসী মোশারফ ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮ জন।
আহতদের মধ্যে মিনারুল, ফারুক, এমদাদ, রাসেল, নাঈম, শরীফা, ফুলচাঁন, জহিরা, সাদ্দাম, সুলতান ও মাসুদের নাম জানা গেছে। তাদের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) দিনভর দফায় দফায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। পরে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন ত্রাস হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী মোশারফ।
এরপর থেকে ক্ষোভে এলাকায় যাননি তিনি। শনিবার এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে চনপাড়া বস্তি থেকে কয়েকশ ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে নাওড়া গ্রামের মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালান তিনি। ঐ সময় গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ করলে দুইপক্ষের সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে ঐ এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ.এফ.এম সায়েদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাড়লে র্যাব এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।