রূপগঞ্জে ৪ শ্রমিককে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় অপহৃতদের বন্ধু লিপন ভূলতা ফাঁড়ির পুুলিশকে অবগত করলে পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার সাওঘাট এলাকার হাজী শের আলীর ছেলে নজরুলের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই শ্রমিকদের উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ৫ জন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকার আমান চৌধুরীর ছেলে শাকিব চৌধুরী (২০) ও একই এলাকার রাম দাসের ছেলে রাম কিশোর (১৯), বরগুনা এলাকার শহিদ খন্দকারের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) ও খোকন মুসল্লির ছেলে তামিম মুসল্লি (২০) এবং আড়াইহাজার থানার লস্করদী এলাকার সানাউল্লা ভূইয়ার ছেলে জাবেদ ভূইয়া (২২)।
উদ্ধারকৃত শ্রমিকরা হলেন- দিনাজপুর জেলার শে^তাবগঞ্জ উপজেলার আবু সুলতানের ছেলে মো. মমিনুল ইসলাম (১৮), জাবেদ মুর্মুর ছেলে রিপন মুর্মু (১৯), সোহরাব হোসেনের ছেলে আব্দুল্লা ইসলাম (২৩), মৃত শ্রী সাধু চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী মিঠুন চন্দ্র রায় (২০)।
এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অপহরন মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার (১৩ অক্টোবর) নারায়নগগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় গার্মেন্টস কর্মীরা পুজার ছুটি পেয়ে দিনাজপুর জেলায় দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য কারখানা থেকে ইজি বাইকযোগে গাউছিয়াস্থ মাষ্টার কাউন্টারে যাওয়ার পথে উপজেলার সাওঘাট এলাকার সিএনজি ষ্টেশনে পৌঁছালে অপহরনকারীরা তাদের গতিরোধ করে।
এসময় রিমন বর্ম, মিঠুন চন্দ্র রায়, মমিনুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ইসলামকে জোরপূর্ব অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ০১৯১৩৫৭৪৫১০ মোবাইল থেকে অপহৃতদের বন্ধু লিপনের মোবাইলে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে।
দাবিকৃত টাকা দিলে তার বন্ধুদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে। উপায়ান্তর না পেয়ে লিপন ভূলতা পুলিশ ফাঁড়িকে জানালে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান করে অপহরনকারী ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, অপহরনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।