নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর রশীদ হত্যা মামলার দুই এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম (৫২) ও মো. জসিম হাওলাদার (৪৫)।
এ সময় জসিম হাওলাদেরর কাছ থেকে ১টি ১২ বোর শর্টগান, ১১টি সীসা কার্তুজ এবং সীসা কার্তুজের ০১টি খালি খোসা উদ্ধার করে র্যাব। গ্রেপ্তারকৃত জসিম রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেলের গানম্যান।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে রূপগঞ্জ থানাধীন বরপা ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ এলাকা হতে বুধবার সন্ধ্যায় সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-১১’র মিডিয়া অফিসার মো. রিজওয়ান সাঈদ জিকু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্নার সঙ্গে মুড়াপাড়া ইউপি নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী তাওলাদ হোসেনের বাগ বিতন্ডা হচ্ছিল। এ সময় শাহরিয়ার পান্নার নির্দেশে মামলার আসামিরা তাওলাদ হোসেন, মামলার বাদী হানিফ মোল্লাসহ তাওলাদের লোকজনকে মারধর করতে থাকেন।
এ সময় তাওলাদের শ্যালক আবদুর রশিদ (৩৩) তাঁদের বাধা দিতে গেলে শাহরিয়ার পান্নার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন রশিদের ডান হাতে এবং সিরাজ ও রাসেল নামে শাহরিয়ারের দুই সহযোগী কাটা রাইফেল দিয়ে রশিদের দুই পায়ে গুলি করেন। একই সময় শাহরিয়ার তাঁর সহযোগী গুলজারের হাত থেকে শটগান কেড়ে নিয়ে রশিদের মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। হত্যাকান্ডের পর তারা পালিয়ে যায়।
এ হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেলকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামে নিহতের বড় ভাই মো. হানিফ মোল্লা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।